২-৪ বছরে বেনজির, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ বাজারে, বিকোচ্ছে কতয়?
credit:TV9
TV9 Bangla
ইলিশ প্রিয় বাঙালিদের জন্য সুখবর! দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, সাগর, পাথরপ্রতিমার মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে বঙ্গোপসাগরের রুপোলি শস্য।
বৃষ্টি ও পূবালি বাতাস থাকায় মরশুমের শুরুতেই গভীর সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দেখা মিলেছে। গত দু'দিনে বেশ কিছু ট্রলার সোমবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০টনের বেশি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরেছে।
বাকি ট্রলার ফিরলে ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্মকর্তারা। তবে এবার আর খোকা ইলিশ নয়। আকারে, ওজনে ইলিশের সাইজ প্রায় ৬০০ গ্রাম থেকে এক কিলোর মধ্যে।
গভীর সমুদ্র থেকে আরও ট্রলার ইলিশ নিয়ে ফিরতে শুরু করেছে নামখানা ও কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দর-সহ সুন্দরবনের ঘাটগুলোতে। ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারের মাছের আড়ত ঘুরে যা পৌঁছে যাবে কলকাতা সহ রাজ্যের বাজারে।
গত দু'মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর গত শনিবার মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরতে সাগর জলে ভেসেছিল মৎস্যজীবীদের ট্রলার। অল্প সময়ের মধ্যে রুপোলি শস্য জালে পড়ায় খুশি ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবীরা।
আবহাওয়ার ভাল থাকলে আগামী কয়েকদিনে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমান ইলিশ মিলবে। ফলে লাভের আশায় বুক বাঁধছে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, "পরশু থেকে আজ পর্যন্ত সমুদ্রে ভাল মাছ এসেছে। বিগত ২-৪ বছরে এরকম আসেনি। মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এবার ২৫-৩০ টনের মতো ইলিশ হয়েছে।"
মৎস্যজীবীরাই বলছেন, গত ২-৪ বছরে তাঁরা এতটা লাভের মুখ দেখেননি। এবার তাহলে বাজারে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। প্রশ্ন, তবে কি বিকোবে জলের দরে?