বিশেষজ্ঞরা বলেন বাড়িতে একটা পোষ্য থাকলে তা আমাদের মনের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ কার্যকরী। এতে মন ভাল থাকে, আর সেই পোষ্য যদি বিড়াল হয় তাহলে তো কথাই নেই।
সেই পোষ্যের আবদার মেটাতে আর তাকে আদর করেই সময় কেটে যায়। বাড়ির পোষ্য বাড়ির সদস্যের মতোই। তাই অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নিজেরা যা খাই তাদেরকেও তাই খেতে দিই।
তবে এই বিষয়টি কিন্তু একদম ঠিক নয়। আমরা যা খাই তা কিন্তু সবসময় পোষ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। বিশেষ করে তেল-মশলা দেওয়া খাবার তো পোষ্যের জন্য খুব খারাপ।
তাই পোষ্যকে কী খাওয়ানো উচিত সেই সম্পর্কে তার চিকিৎসকের থেকেই পরামর্শ নিয়ে নিলে সব থেকে ভাল। বিড়ালদের জন্য আলাদা প্যাকেটজাত শুকনো খাবার কিনতে পাওয়া যায়।
প্রিয় পোষ্যকে তরমুজ দিতে পারেন। তরমুজ বিড়ালের শরীরের জলের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। তবে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ বিড়ালের ক্ষতি করতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
ডিম সিদ্ধ কিন্তু আপনি আপনার পোষা বিড়ালকে দিতেই পারেন। তবে কুসুম বাদে কেবল সাদা অংশ গুঁড়ো করে ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে দিন।
বিড়ালের শরীরের পুষ্টির যোগান মেটাতে খুব কার্যকরী মুরগীর মাংসের সিদ্ধ করা জল বা চিকেন স্টক। খেয়াল রাখবেন এতে যেন নুন বা মশলা না থাকে। এটি খেতেও ভাল আবার জলের চাহিদা মিটবে।
আপনার বিড়াল গর্ভবতী হলে বাড়িতে ঘাস রাখুন। বদহজম হলে ঘাস দিতে হবে। চিনি, রেড মিট, চিংড়ি, বা বেশি পেঁয়াজ, রসুন দেওয়া খাবার একদম দেওয়া চলবে না বিড়ালকে।