সোনা শুধু একটি মূল্যবান ধাতুই নয়, হিন্দু ধর্ম অনুসারে সমৃদ্ধি, সৌভাগ্য এবং ঐশ্বর্যের প্রতীক। তাই হঠাৎ করে সোনা হারিয়ে যাওয়া অশুভ লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্র দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে ব্যাখ্যা। কী বলছে শাস্ত্র?
বাস্তুশাস্ত্রে সোনা মানে হল পজিটিভ এনার্জি, স্থায়িত্ব ও মঙ্গলের প্রতীক। তাই যদি ঘর থেকে সোনা হারিয়ে যায় বা কোনও ভাবে খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে সেটা বাড়ির শক্তিবল বা পজিটিভ শক্তির দুর্বলতার ইঙ্গিত হতে পারে।
বাড়ির অর্থনৈতিক ভারসাম্য বা সুখ-শান্তি ব্যাহত হওয়ার পূর্বাভাস হতে পারে। এছাড়া, বাস্তু মতে দক্ষিণ-পূর্ব দিক আগুন এবং ধনসম্পদের প্রতীক। সেই অংশে যদি কোনও ত্রুটি থাকে, তবে তা সোনা হারানোর মতো ঘটনাকে ডেকে আনতে পারে।
অনেক সময় এটি সংসারে অশান্তি, দাম্পত্য কলহ কিংবা হঠাৎ করে খরচ বেড়ে যাওয়ারও ইঙ্গিত দেয়। তাই বাস্তু মতে সোনা হারানো অত্যন্ত অশুভ লক্ষণ।
জ্যোতিষ মতে, সোনা সূর্য এবং বৃহস্পতি গ্রহের প্রতীক। সূর্য মানে আত্মবিশ্বাস, সম্মান ও আত্মশক্তি। বৃহস্পতি মানে জ্ঞান, ধন ও শুভ শক্তির প্রতীক।
যদি কোনও ব্যক্তির জন্মকুন্ডলীতে এই দুই গ্রহের অবস্থান দুর্বল হয়, তাহলে তাঁর জীবনে সোনা হারানোর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে রাহু বা কেতু যখন বৃহস্পতি বা সূর্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে, তখন এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।
এটি ভবিষ্যতে কোনও আর্থিক ক্ষতি, মানসিক চাপ বা সামাজিক সম্মানহানির পূর্বাভাসও হতে পারে। এমন হলে বাস্তু সংশোধনের জন্য ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণ পরিষ্কার ও আলোযুক্ত রাখুন। বৃহস্পতি এবং সূর্যের প্রতিকারস্বরূপ প্রতিদিন গায়ত্রী মন্ত্র, বৃহস্পতি বীজ মন্ত্র জপ করতে পারেন।
বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।