যত দিন যাচ্ছে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা। কোথাও লাইনচ্যুত হচ্ছে ট্রেন তো কোথাও আবার ট্রেনে ট্রেনে দুর্ঘটনা। আচ্ছা, এই দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের চাকার ভূমিকা কতটা জানেন?
গাড়ি বা বাইকের চাকা তো পরিবর্তন করতে হয় নিয়মিত সময়ের অন্তরে। আবার টায়ার পাংচার হলেও সঙ্গে সঙ্গে বদলে নিতে হয় সেই টায়ার। তবে ট্রেনের চাকা ক্ষেত্রে কী হয় জানেন?
নিয়মিত সময়ের অন্তরে কি বদলাতে হয় ট্রেনের চাকাও? হ্যাঁ, দুর্ঘটনা এড়াতে হলে কিন্তু ট্রেনের চাকাও পরিবর্তন করা দরকার।
ভারতীয় রেলে মূলত দু'ধরনের চাকা ব্যবহার করা হয়। সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রে এবং মালবাহী রেলের জন্য আলাদা আলাদা ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে এই চাকা বানানো হয়।
ট্রেনের চাকার ওজন নানা রকম হয়। সাধারণত যাত্রীবাহী ট্রেন অর্থাৎ লোকাল ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির চাকার ওজন ২৩০ থেকে ৬৮০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। মালবাহী ট্রেনের চাকার ওজন ৯০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
যাত্রীবাহী ট্রেন হলে সাধারণত একটি নতুন চাকা ৩-৪ বছর অবধি ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ১১২৬৫৪ থেকে ১৬০৯৩৪ কিলোমিটার যাত্রা করতে সক্ষম।
তবে মালবাহীর গাড়ির চাকার আয়ু কিন্তু অনেক বেশি। একটি চাকা ৮-১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার যোগ্য। এমনকি এই চাকা প্রায় আড়ুাই লক্ষ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রা করতে পারে।
ট্রেনের সুরক্ষার অনেকটাই কিন্তু নির্ভর করে, ওই ভারী ভারী লোহার চাকাগুলির উপরে। তাই প্রতিদিন ৩০ দিন অন্তর সেই চাকা পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে। কোনও সমস্যা থাকলে তা তক্ষুনি পরিবর্তন করা দরকার।