শরীরে অতিরিক্ত লোম অনেকের কাছেই অস্বস্তির কারণ হতে পারে। যদিও এটি স্বাভাবিক একটি শারীরিক বৈশিষ্ট্য, তবুও অনেকেই এর ঘনত্ব ও দ্রুত বৃদ্ধির হার কমাতে চান। হরমোনের তারতম্যের কারণে একেকজনের লোম বৃদ্ধির হার হয় অত্যন্ত বেশি।
লোমের বৃদ্ধি কমাতে কেমিক্যাল বা পার্লার ট্রিটমেন্ট নেন অনেকেই। তবে এতে অনেক সময় নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রাসায়নিক ছেড়ে বরং ভরসা রাখুন এই ঘরোয়া টোটকায়।
হলুদ ও দুধের মিশ্রণ - হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা লোমের গোড়ায় প্রভাব ফেলে। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লোমযুক্ত স্থানে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ঘষে তুলে ফেলুন। এটি নিয়মিত করলে লোম পাতলা হয়। গ্রোথ কমে।
বেসন, লেবু ও মধুর প্যাক - এই মিশ্রণ ত্বকের মৃত কোষ তুলে দেয় এবং লোম উৎপাদনের গতি কমায়। বেসন ২ চামচ, লেবুর রস ১ চামচ এবং মধু ১ চামচ মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহারে উপকার পাবেন।
পেঁপে ও কাঁচা হলুদের পেস্ট - পেঁপেতে থাকা প্যাপন নামক এনজাইম লোমের গোড়া দুর্বল করে। কাঁচা হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করলে লোমের বৃদ্ধির হার কমে যায়।
আলু ও মসুর ডালের প্যাক - মসুর ডাল বেটে তাতে আলুর রস মিশিয়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঘষে তুলে ফেললে মৃত কোষের সঙ্গে লোমও ধীরে ধীরে উঠে আসবে এবং নতুন লোমের গ্রোথ কমবে।
২১ জুন, বিশ্ব যোগ দিবস। যোগা বহু মানুষেরই প্রাত্যহিক জীবনের অঙ্গ। সুস্থ থাক্তে যোগ চর্চার কথা আমরা সকলেই জানি। তবে যোগা শুধু শারীরিক ব্যায়াম নয়, এটি একটি মানসিক প্রশান্তির পথও বটে। মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ যোগ চর্চা?
ডিমের সাদা অংশ ও কর্ণফ্লাওয়ার পেস্ট - ডিমের সাদা অংশে কর্ণফ্লাওয়ার মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। এটি শুকিয়ে গেলে টান দিয়ে তুলুন। এই পদ্ধতিতে পাতলা লোম সহজে উঠে যায় এবং ভবিষ্যতে গতি কমে।
চিনি, লেবু ও জল দিয়ে ওয়াক্সিং - এই প্রাকৃতিক ওয়াক্স শরীর থেকে লোম তুলতে সাহায্য করে ও গোড়া দুর্বল করে দেয়, ফলে নতুন লোম গজাতে সময় লাগে।