মহাকাশ গবেষণায় আবারও ইতিহাস গড়েছে ভারত। ইসরোর PSLV C-৬০-এর POM-৪ মিশনের মাধ্যমে মহাকাশেও বীজ অঙ্কুরিত করেছে ভারত। কিন্তু কী ভাবে সফল হল এই পরীক্ষা? কেনই বা প্রয়োজন এই পরীক্ষার?
POM-৪ মিশনে মোট ২৪টি উন্নত পেলোড অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই মিশন 'কমপ্যাক্ট রিসার্চ মডিউল ফর অরবিটাল প্ল্যান্ট স্টাডিজ' (CROPS) এর মাধ্যমে পুরো করা হয়েছে।
ISRO-এর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ মাইক্রোগ্র্যাভিটি কাউপিয়ার বীজ। গবেষণা চলাকালীন সময়ে আটটি কাউপির বীজ একটি বন্ধ বাক্সে রাখা হয়েছিল।
সেই বাক্সের তাপমাত্রা এবং অন্যান্য অবস্থার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল। অঙ্কুরোদগমের যোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। কী ভাবে এটি অঙ্কুরিত হয় এবং মাইক্রোগ্রাভিটিতে বৃদ্ধি পায় তা বোঝার জন্য এই পরীক্ষা করা।
কেন হঠাৎ পৃথিবী ছেড়ে মহাশূন্যে গিয়ে গাছ পালা চাষের প্রয়োজন পড়ল? এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ মিশনের জন্য খাদ্য, অক্সিজেন এবং মানসিক স্বাস্থ্য জনিত সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা।
মহাকাশচারীরা যখন কয়েক মাস বা বছর ধরে মহাকাশে থাকে, তখন তাদের ফ্রেশ খাবারের অভাব হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে গাছপালা বাড়ানো এক স্থায়ী সমাধান হতে পারে।
গাছ কার্বন ডাই অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করে। ফলে মহাকাশযানের ভিতরে বাতাসের গুণমান বাড়বে। ভবিষ্যতে মঙ্গল বা চাঁদের মতো গ্রহে বসতি স্থাপনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকেও এই গবেষণা বড় পদক্ষেপ।
প্রাথমিক পরীক্ষা সফল হলেও এই প্রযুক্তির সম্পূর্ণ বিকাশ হতে সময় লাগবে। ইসরোর এই পদক্ষেপ মহাকাশে মানব বসতি স্থাপনের দিকে একটি বড় পরিবর্তন হতে পারে বলেই মত বিজ্ঞানীদের।