ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তান। দেশভাগের সময় মুসলিম ধর্মালম্বীদের একটা বড় অংশ গিয়ে বসতি স্থাপন করে পাকিস্তানে। তৈরি হয় পাকিস্তান।
ভারতে যেমন আজও বহু মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষ বাস করেন তেমনই কিছু হিন্দু থেকে গিয়েছিলেন সেই দেশেই। আজও যাঁদের উত্তরসূরীদের বাস পাকিস্তানেই।
২০২৩ সালের জনগণনা অনুসারে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যা ২৪ কোটি। যার মধ্যে ৯০ শতাংশই মুসলিম। বাকি ১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে হিন্দু, খ্রীস্টান এবং শিখ ধর্মালম্বীরা।
যার মধ্যে আবার মোট হিন্দু রয়েছেন মোট জন সংখ্যার ২.১৭ শতাংশ। মানে ওই দেশে যে হিন্দুরাই সংখ্যালঘু সেটা বলে দিতে হয় না।
স্বাভাবিক ভাবেই পাকিস্তানি সেনাতেও মুসলিমদেরই উপস্থিতি। যদিও বর্তমান পরিসংখ্যান অবশ্য বলছে, পাকিস্তানি সেনাতে গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে হিন্দুদের সংখ্যা।
পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে পাকিস্তানি সেনায় মোট হিন্দু সেনার সংখ্যা ২০০। শতাংশের হিসাবে কম হলেও সংখ্যাটা খুব কম নয়। এটাও সম্ভব হয়েছে ২০০০ সালে সেনার নীতি পরিবর্তনের পরে। তার আগে পাকিস্তানি সেনায় হিন্দুদের নেওয়া হত না। (মেজর ড: কৈলাশ কুমার)
২০০০ সালে এই হিন্দুদের সেনায় নিয়োগের সিদ্ধান্তের পর ২০০৬ সালে ক্যাপ্টেন দানিশ প্রথম হিন্দু অফিসার যিনি পাকিস্তানি সেনায় কর্মরত ছিলেন। যা বাকি হিন্দুদের জন রাস্তা আরও সহজ করে দিয়েছিল।
২০২২ সালে মেজর ড: কৈলাশ কুমার এবং মেজর ড: অনিল কুমার দুজনকেই লেফট্যানেন্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি করা হয়। যা মাইলস্টোন হিসাবেই গণ্য করা হয়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মোট পাক সেনায় ৬০০,০০০ অ্যাক্টিভ সেনা রয়েছে।