কোন পদ্ধতিতে দীক্ষা দেওয়া হয় নাগা সাধুদের? দেখুন সেই ছবি
credit:PTI
TV9 Bangla
কুম্ভ মেলা নাগা সাধু এবং সন্ন্যাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ এবং কঠোর ব্রহ্মচর্য পালনের পরে, এই কুম্ভ মেলাতেই শুরু হয় তাঁদের দীক্ষা দেওয়ার প্রক্রিয়া।
কুম্ভ মেলায় একজনকে নাগা সাধু হওয়ার জন্য দীক্ষা নিতে হয়। এই বছর মহাকুম্ভেও শুরু হয়েছে সেই দীক্ষা দেওয়ার প্রক্রিয়া। পুরনো আখড়ায় শুরু হয়েছে এই আচার। জানেন কী কী নিয়ম পালন করতে হয়?
প্রথমে ব্রহ্মচর্য পালনের শেষে কুম্ভ মেলায় গিয়ে পবিত্র সময়ে গঙ্গাস্নান সারতে হয়। তার পরে শুরু হয় দীক্ষা দানের প্রক্রিয়া।
স্নানের পরে, সাধকদের গায়ে মাখিয়ে দেওয়া হয় চন্দনের বিশেষ মিশ্রণ। সেই মিশ্রণ মাখানো হয় সাধুদের মাথায় এবং দুই বাহুতে।
নাগা সাধু হতে হলে সাত প্রজন্মের বলি দিতে হয়। সাধু হয়ে গেলে তাঁর নতুন পরিচয় তৈরি হয়। পূর্ব জীবনের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোফ রাখা চলে না।
নাগা সাধুদের মৃত্যুর পরে তাঁদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কেউ থাকে না। তাই সাধু হওয়ার আগে নিজের পিন্ড দান করতে হয় নিজেদের। কামিয়ে ফেলতে হয় সব চুল।
মৌনি অমাবস্যার দিন, গুরু নিজে দীক্ষা দেন তপস্বীদের। এই বছর পুরোনো আখড়ার প্রধান অবধেশানন্দ গিরি গুরুমন্ত্র দিয়ে নাগা তপস্বীদের দীক্ষা দেবেন।
নাগা সাধু হওয়ার জন্য, প্রথমে স্নান করার জন্য একটি সারিতে নিয়ে যাওয়া হয় তপস্বীদের। তারপর উপরে লিখিত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।