কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি থেকে সপ্তমী তিথি। এই সময়ে গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় ছট পুজো। মূলত উত্তর ভারতের উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, বিহার এই উৎসব উদযাপনের আধিক্য হলেও পিছিয়ে নেই বাংলাও।
প্রথম দিন নাহাই-খাইয়ের আচারের মাধ্যমে শুরু হয় ছট পুজোর। তারপর দ্বিতীয় দিনে থাকে খরনা। তৃতীয় দিনে সূর্যাস্তের সময় অর্ঘ্য দান করা হয়। শেষ দিনে আবার উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্যদান করার নিয়ম রয়েছে।
এই সময় ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপোস করে ব্রত পালন করেন ভক্তরা। পরিবারের সকলের মঙ্গল কামনায় ও সন্তানদের মঙ্গল কামনায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই উৎসবে উপোস করার প্রথা।
নাহাই-খাই তিথির শুরু ৫ নভেম্বর। এই দিন স্নান করে ছঠি মাইয়ার পুজো করা হয়। দিনে একবার মাত্র পরিবারের মহিলা খাবার গ্রহণ করে। এই দিন সূর্যোদয় সকাল ৬টা ৩৬ মিনিট। সূর্যাস্ত বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিট।
ছঠ পুজোর দ্বিতীয় দিন খরনা উৎসব। এই দিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত অবধি নির্জলা উপোস করতে হয়। খরনা তিথি শুরু হচ্ছে ৬ নম্ভেম্বর সকাল ৬টা ৩৭ মিনিট, সূর্যাস্থ হচ্ছে বিকেল ৫টা ৩২ মিনিট।
খরনার পরের দিনটি হল, সান্ধ্য অর্ঘ্য প্রদানের দিন। এই দিন অস্তগামী সূর্যদেবকে অর্ঘ্য প্রদান করা হয়। সূর্যাস্তের পরেই শুরু হয় ৩৬ ঘণ্টার টানা উপোসের। সান্ধ্য অর্ঘ্যের দিন সূর্যোদয় সকাল ৬টা ৩৮ মিনিট, সূর্যাস্ত বিকেল ৫টা ৩২ মিনিট।
ছট পুজোর শেষ দিন হল উষা অর্ঘ্য। এই দিনেই ব্রতপালনকারীরা তাঁদের ৩৬ ঘণ্টার উপোস ভঙ্গ করেন। সূর্যোদয়ের সময় অর্ঘ্য দান করা হয় সূর্যদেবকে। সূর্যোদয় হবে ৮ নভেম্বর সকাল ৬টা ৩৮ মিনিট, সূর্যাস্ত ৫টা ৩১ মিনিট।
এই সময়ে ষষ্ঠী তিথি শুরু হচ্ছে ৭ নভেম্বর রাত ১২টা ৪১ মিনিটে। আর ষষ্ঠী তিথি থাকছে ৮ নভেম্বর রাত ১২টা ৩৪ মিনিট অবধি। ছট পুজোর সময় সকাল ৬টা ৩৮ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৩২ মিনিট অবধি।