03 JUL 2025

রোজ কাড়ি কাড়ি বিস্কুট খান? শরীরে কী প্রভাব পড়ছে জানেন?

credit:TV9

TV9 Bangla

সকালে উঠে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট না খেলে ঠিক জমে না বাঙালি। চা-বিস্কুট সঙ্গে নির্ভেজাল আড্ডা, বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। কিন্তু চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না খারাপ? সেটা জানা আছে?

বাজারে যত রকম বিস্কুট পাওয়া যায়—ক্রিম বিস্কুট, ডাইজেস্টিভ, মারি, বাটার, চকোলেট—তাদের বেশিরভাগই উচ্চমাত্রায় চিনি, পরিশোধিত আটা (ময়দা), ট্রান্স ফ্যাট ও প্রিজারভেটিভ দিয়ে তৈরি।

বারবার এবং অতিরিক্ত পরিমাণে বিস্কুট খাওয়া রক্তে চিনির মাত্রা বাড়াতে, ওজন বাড়াতে, এমনকি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস এর ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।

চায়ে থাকা ক্যাফেইন এবং বিস্কুটের চিনিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট একসঙ্গে খেলে শরীরে তৎক্ষণাৎ এনার্জি আসে। কিন্তু তা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ফলে কিছুক্ষণ পরেই আবার খিদে পায় এবং আরও খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

এই অভ্যাস ধীরে ধীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার একটা অভ্যাস গড়ে তোলে। নিয়মিত চায়ের সঙ্গে ৫-৬টি বিস্কুট খেলেই দিনে প্রায় ২০০–৩০০ অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে ঢুকে পড়ে।

অতিরিক্ত চিনি ও ময়দা যুক্ত বিস্কুট রক্তে ইনসুলিন লেভেলে প্রভাব ফেলে। বিস্কুট খেয়ে অনেক সময় অনেকে মূল খাবার কম খায়, ফলে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলসের ঘাটতি তৈরি হয়।

বেশি পরিমাণ প্রিজারভেটিভ ও ফ্যাট বদহজম, গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে। পরিবর্তে চায়ের সঙ্গে ঘরে বানানো ওটস বা মাল্টিগ্রেইন বিস্কুট খেতে পারেন। মুড়ি, চিড়ে, ছোলা ভাজা, সেদ্ধ ডিম বা বাদাম চায়ের সঙ্গে ভাল বিকল্প।

কম চিনি ও কম ফ্যাটযুক্ত বিস্কুট খেতে হলেও, সেটাও মাত্রার মধ্যে রাখা উচিত। চায়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে ১-২টি বিস্কুট খাওয়ায় ক্ষতি নেই। কিন্তু প্রতিদিন কাড়ি কাড়ি বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস শরীরের ওপর দীর্ঘমেয়াদে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।