বাঙালির রান্নাঘরে সর্ষের তেল থাকবে না তা ভাবাই যায় না। পাতুরি হোক ভাজাভুজি এমনকি সামান্য সাদা আলুর চচ্চরি করলেও প্রয়োজন সর্ষেরর তেল। কিন্তু এই তেল খাওয়া ভাল না খারাপ জানেন?
শীতকাল মানেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে এই সময় বাড়ে চুলকানি, ঘায়ের সমস্যাও। সর্ষের তেলের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদানে অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে কার্যকরী।
অকালে বলিরেখার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সর্ষের তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স। এই ভিটামিন বলিরেখা কমাতে বেশ কার্যকরী।
শীত এলেই ঠোঁট ফাটতে শুরু করে অনেকের। রাতে শোয়ার আগে ঠোঁটে দু-তিন ফোঁটা সর্ষের তেল লাগিয়ে নিয়ে দেখুন। পাবেন মসৃণ ও কোমল ঠোঁট।
এসপিএফ-এ এলার্জি থাকে বলে সানস্ক্রিন মাখতে পারেন না অনেকেই। তাই বলে রোদে তো আর এমনি বেরোনো যায় না। আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সর্ষের তেল অব্যর্থ।
সর্ষের তেলের সঙ্গে মেথি ও জবা ফুলের পাপড়ি একসঙ্গে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। পরে সেই তেল দিয়ে চুল মাসাজ করুন। দেখবেন শীতেও চুল থাকবে নরম, উজ্জ্বল।
কিছু সমীক্ষা বলছে, সর্ষের তেলের ভিতর আছে ক্যানসার প্রতিরোধের গুণ। এই তেলে থাকা লিনোলেনিক অ্যাসিড ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিণত হলে তা স্টম্যাক ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।