বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে হিন্দুরা পালন করেন অক্ষয় তৃতীয়ার। বিশেষ করে হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। 'অক্ষয়' অর্থাৎ 'অবিনশ্বর'। এই দিনে করা শুভ কর্মের ফল চিরস্থায়ী হয় বলে বিশ্বাস।
পৌরাণিক মতে, এই দিনে বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম জন্মগ্রহণ করেন। মহর্ষি বেদব্যাসও মহাভারত রচনা শুরু করেন অক্ষয় তৃতীয়াতেই।
দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব, গঙ্গার মর্ত্যে অবতরণ এবং কুবেরের ধনপ্রাপ্তির ঘটনাও এই তিথির সঙ্গে যুক্ত। পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রার রথ নির্মাণও এই দিন থেকেই শুরু হয়।
অক্ষয় তৃতীয়ায় দেবতা লক্ষ্মীনারায়ণের পুজো, দান-ধ্যান এবং সোনা কেনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। নতুন ব্যবসা, গৃহপ্রবেশ, বিবাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সূচনা এই দিনে অত্যন্ত ফলপ্রদ হয় বলে বিশ্বাস।
জৈন ধর্মে এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভনাথ ৪০০ দিনের উপবাসের পর এই দিনেই আখের রস গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করেছিলেন। তাই জৈন সম্প্রদায়ের মধ্যে দান ও উপবাসের প্রচলন রয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ায়।
২০২৫ সালে অক্ষয় তৃতীয়া পড়েছে ৩০ এপ্রিল, বুধবার। এই দিনে বিশেষ পূজা, দান এবং নতুন সূচনার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
অক্ষয় তৃতীয়া কেবল একটি তিথি নয়, বরং এটি শুভতার, সমৃদ্ধির এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল প্রতীক, যা আজও মানুষের জীবনে নবপ্রেরণা ও আশার আলো জাগায়।
বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।