আগামীকাল দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজো। মা লক্ষ্মীকে আবাহন করার ঠিক আগেই রয়েছে অলক্ষ্মী বিদায়ের প্রথা। সমুদ্র মন্থনের সময় দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গেই জন্ম তাঁর।
দেবী লক্ষ্মী যেমন আলো, সম্পদের প্রতীক, দেবী অলক্ষ্মী তেমনই অন্ধকারের প্রতীক। বাড়িতে অলক্ষ্মীর বাস হলে, সেখানে ধেয়ে আসে অশুভ ছায়া। অশান্তি, আর্থিক কষ্টের মধ্যে কাটে জীবন।
তাই দেবী লক্ষ্মীর পুজোর আগে অলক্ষ্মীর আরাধনা গুরুত্বপূর্ণ। কী ভাবে করবেন অলক্ষ্মী বিদায়? কেবল পাট কাঠিতে আগুন ধরিয়ে বাড়ির চারপাশ প্রদক্ষিণ করলেই কিন্তু হল না! অলক্ষ্মী বিদায়ের জন্য আছে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম।
লক্ষ্মীপুজোর ঠিক আগে একটা কলার পেটো ছোট করে কেটে নিন। তার উপর গোবর দিয়ে একটা পুতুল তৈরি করে রাখুন। বাঁ হাত দিয়ে যে কোনও নীল রঙের ফুল দিয়ে পুতুলটি পুজো করুন। পুজো হয়ে গেলে কলার পেটো সমেত পুতুল বাড়ির বাস্তুভূমির বাইরে রেখে আসুন।
যে পুতুলটি নিয়ে যাবে তাঁর পিছনে একজনকে কুলো বাজাতে বাজাতে যেতে হবে। এই কাজ হয়ে গেলে হাত-পা ভাল করে ধুয়ে, নিয়মমতো মা লক্ষ্মীদেবীর পুজো করুন। অলক্ষ্মী বিদায় নিজেরাই করতে পারেন।
বাড়িতে অলক্ষ্মীর প্রবেশ আটকাতে সদর দরজায় সাতটি লঙ্কা ও তিনটি লেবু দিয়ে মালা বানিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন। মনে করা হয়, অলক্ষ্মী টক-ঝাল খাবার পছন্দ করে। বাড়িরস সদর দরজায় এই মালা থাকলে আর অলক্ষ্মী বাড়িতে প্রবেশ করবে না।
অলক্ষ্মী বিদায় করা ছাড়াও আরও কিছু কাজ করা থেকে এদিন বিরত থাকা প্রয়োজন। বাড়িতে শান্তি বজায় রাখতে হবে। ঝগড়া ঝাটি করা চলবে না। ঝাল মশলা দেওয়া খাবার বানাবেন না।
এই দিন আমিষ রান্না করা বা খাওয়া চলবে না। লক্ষ্মী দেবীর সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত কোনও জিনিস কাউকে দেবেন না। অলক্ষ্মী বিদায়ের আগে আবর্জনা, ভাঙা জিনিস বাড়ি থেকে ফেলে দিতে হবে।