ভূত চতুর্দশী আসলে কী? কেন এই দিন ১৪ প্রদীপ জ্বালাতে হয়?
credit: getty images
TV9 Bangla
মহালয়ার ঠিক আগের দিন বাঙালিদের ঘরে ঘরে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। ১৪ প্রদীপ জ্বেলে ১৪ শাক খাওয়ার বিধান রয়েছে এই দিন। কিন্তু আসলে কী এই ভূত চতুর্দশী?
হিন্দু শাস্ত্র মতে কালী পুজোর ঠিক আগের দিন কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে, পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বালানর বিধান রয়েছে এই দিন।
পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতেই আবার এই ভূত চতুর্দশী তিথি পরিচিত নরক চতুর্দশী নামেও। পুরাণ মতে, এই দিনে নরকাসুরকে বধ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তাই ভারতের এক অংশ এই দিন নরক চতুর্দশী রূপে পালিত হয়।
ভারতের নানা প্রান্তে এই দিনটিকে নানা ভাবে পালন করা হয়। কোথাও ভূত চতুর্দশী পরিচিত ছোট দিওয়ালি নামে, কোথাও পালিত হয় রূপ চৌদাস, কোথাও পরিচিত রূপ চতুর্দশী বা নরক পুজো নামেও।
কেবল চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানই নয়, এই দিন দেশের বহু অংশে পূজিত হন যমরাজও। দীর্ঘ জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার উদ্দেশ্যে এই বিশেষ তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ ও যমরাজের পুজো করার রীতি প্রচলিত রয়েছে।
কথিত, ১৪ জন প্রেত অনুচরকে সঙ্গী করে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ করেন দেবী চামুণ্ডা। কারও মতে এই তিথিতে অনুচর সহ ভূত, প্রেত নিয়ে মর্ত্যে আসেন রাজা বলি।
মনে করা হয়, এই দিন স্বর্গ ও নরকের দ্বার কিছুক্ষণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেই দরজা দিয়ে পরলোকগত আত্মারা মর্ত্যে ফিরে আসেন। পিতৃকুল ও মাতৃকুলের চোদ্দ পুরুষের অশরীরী আত্মা নেমে আসেন গৃহস্থের বাড়িতে।
বলি রাজা, পূর্বপুরুষের প্রেতাত্মা ছাড়াও নানান বিদেহী আত্মারা এদিন মর্ত্যলোকে নেমে আসে। তাই অশুভ শক্তির হাত থেকে বাড়িকে রক্ষা করতে ১৪ প্রদীপ জ্বালান হয়।