দেবীর গলার মুণ্ডমালা কী আদৌ নরমুণ্ড নাকি আছে অন্য রহস্য?
credit: getty images
TV9 Bangla
তিনি উগ্র চণ্ডা, মুক্ত কেশী। তাঁর হাতে খড়্গ। গলায় থাকে মুক্তমালা। হাতেও থাকে মুণ্ড। কিন্তু কেন মায়ের গলায় মুণ্ডমালা থাকে, জানেন? কটা মুণ্ড বা থাকে মায়ের মালায়?
মায়ের গলায় যে মুণ্ড মালা থাকে তাতে মুণ্ডের সংখ্যা কিন্তু নির্দিষ্ট। কালীর গলায় যে মুণ্ড মালা থাকে, তাতে ৫০টি মুণ্ড থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল এগুলো কি নর মুণ্ড? মা তো আদি শক্তির দশম মহাবিদ্যার প্রথম রূপ, সৃষ্টির আগে থেকে তাঁর অস্তিত্ব।
অনেকের মতে এই প্রত্যেকটি মুণ্ড বা করোটি এক একটি বর্ণের প্রতীক। কথায় বলে কালী পঞ্চাশৎ বর্ণময়ী। বাংলা বর্ণমালাতেও ৫০টি বর্ণ। যাঁর মধ্যে ১১টি স্বর বর্ণ, ৩৯টি ব্যঞ্জন বর্ণ। ব্রহ্মাণ্ডের পূর্বে বর্ণকেই ধারণ করে মা কালী।
কেউ বলেন মুণ্ডমালা অশুভ নাশ করে শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠা করার প্রতীক। জগতে যখনই অশুভ শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে তখনই তিনি খড়্গ হাতে নেমে এসেছেন পাপের সংহারে।
দেবীর হাতের মুণ্ডমালা নিয়েও রয়েছে নানা মত। মুণ্ডমালাকে বা দেবীর হাতের মুণ্ডকে যুদ্ধের প্রতীক হিসাবেও কল্পনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে মুণ্ডমালা অশুভ শক্তির নাশকেই নির্দেশ করে।
প্রতিটি মুণ্ডকে শক্তি সাধনার প্রতীক হিসাবেও কল্পনা করা হয়। দেবীর হাতে ধরা মুণ্ডটিকে মনে করা হয় মোক্ষ ও চৈতন্যের প্রতীক।
কথিত এক বার নাকি অশুভ শক্তির সংহারে যুদ্ধে গিয়েছিলেন মা কালী। কিন্তু রণক্ষেত্রে যুদ্ধরতা দেবীর কেশ ধরে টান মারেন সেনাপতি। দুঃসাহসী সেই সেনাপতির মুণ্ড ছেদ করেন দেবী। সেই মুণ্ডই শোভা পায় তাঁর হস্তে।
দেবী আদ্যাশক্তির প্রতীক। কার্তিক মাসের এই অমাবস্যা তিথি সকলের কাছে পরিচিত দীপান্বিতা অমাবস্যা নামে। এই দিনেই পূজিত হন দেবী লক্ষ্মীও।