বাঁদরকে খাওয়ানো শুভ না অশুভ? জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে...
credit:Meta AI
TV9 Bangla
জ্যোতিষশাস্ত্রে জীবজন্তুকে খাওয়ানোকে শুধু দান নয়, একধরনের কর্মফল সংশোধনের উপায় বলে বর্ণনা করা আছে। শনিদোষ, মঙ্গলদোষ বা কুগ্রহের কুপ্রভাব থেকে মুক্তি পেতে এই উপায় বহু প্রাচীনকাল ধরে অনুসরণ করা হয়। জানেন বাঁদরকে খাওয়ালে কী কী ফল পাওয়া যায়?
শনিদোষ কাটে - জ্যোতিষ মতে, হনুমান বা বাঁদর শনিদেবের পরম ভক্ত। তাই বাঁদরকে খাবার দিলে শনির কুপ্রভাব কমে। শনি মহাদশা, সাড়ে সাতি, পনতি ইত্যাদি সমস্যা থাকলে এই উপায় কার্যকর হতে পারে।
ভয় ও কষ্ট দূর হয় - যারা অকারণ ভয় পান বা মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন, তাঁরা যদি প্রতি শনিবার বাঁদরকে কলা বা গুড়-ছোলা দেন, তাহলে মানসিক শান্তি ফিরে আসে।
রাহু ও কেতুর দোষ হ্রাস পায় - বাঁদরকে খাওয়ালে রাহু ও কেতুর কুপ্রভাবও কমে যায়। বিশেষত যারা বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাঁদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে।
সন্তানের মঙ্গল হয় - বাঁদরকে খাবার দিলে সন্তানদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ উন্নত হয় বলে মনে করা হয়। মা যদি বাঁদরকে খাওয়ান তাহলে মায়ের করা এই সেবা সন্তানের পক্ষে শুভ ফল আনে।
শত্রু দমন হয় - বাঁদরের দেবতা হনুমান যেহেতু শক্তিশালী, তাই তাঁকে সন্তুষ্ট করলে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা মেলে। স্বয়ং বজরংবলী যাঁর সহায় হয়, তাঁর অনিষ্ট করে কার সাধ্যি?
কর্মে সাফল্য আসে - যারা বারবার চেষ্টা করেও সফলতা পাচ্ছেন না, বাঁদরকে রোজ না পারলে অন্তত প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার খাওয়ালে কর্মজীবনে উন্নতি হয়। বাঁদরকে খাওয়ানো একপ্রকার পূণ্যকর্ম, যা ভাগ্য উজ্জ্বল করে। হনুমানজীর আশীর্বাদ লাভের সহজ উপায় বলে মনে করা হয়।
বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা তাঁদের প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।