আপনার চুলের জন্য কোনটা ভাল হেয়ার সেরাম নাকি হেয়ার অয়েল? কী করে বুঝবেন
credit:TV9
TV9 Bangla
'চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা' সেই কবে বনলতা সেনকে নিয়ে এই কথা লিখে গিয়েছেন জীবনান্দ দাশ। ঘন, কালো, রেশমি চুল কার না পছন্দ বলুন!
ব্লাড প্রেসারের ধরা পড়লে নুন খাওয়া কমাতে হবে এই কথা সকলেই জানেন। অনেক সময় অনেকে চিরাচরিত নুন এড়িয়ে রক সল্ট, গোলাপি নুন বা কালো নুন খান। কিন্তু বাস্তবে এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়? কোনটি ভাল কোনটি খারাপ?
শখের চুলের যত্ন নিতে নানা রকম প্রসাধনী ব্যবহার করেন অনেকে। কেউ কেউ চুলের ভাল গ্রোথের জন্য হেয়ারচ অয়েল ব্যবহার করেন। কেউ আবার স্নান করে উঠে চুলে হেয়ার সেরাম লাগান। কিন্তু কোনটা ভাল? কী করে বুঝবেন?
চুলের ভাল গ্রোথের জন্য কার্যকরী তেল। মাথার ত্বককে এবং চুলের ভিতর থেকে পুষ্টির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হেয়ার অয়েল। চুলের গোড়া এবং গভীরে প্রবেশ করে কন্ডিশনিং করে এবং গোড়া মজবুত করে।
হেয়ার সেরাম স্টাইলিং-এর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। চুল স্মুদ রাখতে সাহায্য করে। সেরাম প্রধানত গোটা চুলে প্রয়োগ করা হয়। কোঁকড়ানো ভাব কমায়, চকচকে করে তোলে, পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
হেয়ার অয়েল সাধারণত মাথার ত্বক এবং তার সঙ্গে সম্পূর্ণ চুলে প্রয়োগ করা হয়। অনেক সময় সারারাত চুলে তেল লাগানো হয়। চুলের সেরাম শুধুমাত্র চুলের পুরো অংশে লাগানো হয়। মাথার ত্বকে নয়।
চুল শুষ্ক হয়ে গেলে, ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা চুল পাতলা হয়ে গেলে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। খুশকির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সব ক্ষেত্রে কার্যকরী তেল। চুল নিস্তেজ হয়ে গেলে, রং নষ্ট হয়ে গেলে বা কুঁকড়ে গেলে তার জন্য কার্যকরী হল সেরাম।
চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য সাধারণত সপ্তাহে ১-৩ বার চুলে তেল ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের আগে চুলে তেল লাগায় অনেকে। চুলে সেরাম লাগানো হয় স্নান করে ওঠার পরে। প্রতিদিন চুল ধোয়ার পরে সেরাম লাগানো যেতে পারে।
তেলের একটা নিজস্ব ওজন থাকে। ফলে এটি ভারী, তৈলাক্ত হয়। অতিরিক্ত ব্যবহারে সূক্ষ্ম চুলে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। সেরাম হালকা হয়। তৈলাক্ত ভাব থাকে না। ফলে জমাট বাঁধার মতো সমস্যা হয় না।