ঘুম থেকে উঠে কী খেতেন রবীন্দ্রনাথ, আর দুপুরে কবিগুরুর পাতে থাকত কী?
TV9 Bangla
Credit - Pinterest
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে অনেকের নানা প্রশ্ন মাঝে মাঝেই মনে জাগে। কবিগুরু ও ঠাকুর বাড়ির অন্দরমহল নিয়েও অনেকের রয়েছে বিরাট জল্পনা।
রবি ঠাকুর ও ঠাকুর বাড়ির অন্দরমহল নিয়ে বহু প্রবন্ধ ও লেখালিখিও হয়েছে। তা থেকে বেশ খানিকটা আন্দাজ পাওয়া যায় যে কবি গুরুর জীবনযাত্রা কেমন ছিল।
বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ মারফত জানা গিয়েছে যে, খাবারের ব্য়াপারে খুবই খুঁতখুঁতে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। একবার যদি কোনও খাবারের স্বাদ এদিক থেকে ওদিক হত, তা হলেই রেগে যেতেন।
যার ফলে ঠাকুর বাড়ির রাঁধুনিরা বরাবরই অত্যন্ত সতর্ক থাকতেন। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে, কী রকম খাবার খেতেন বিশ্বকবি।
রবি ঠাকুরের ব্রেকফাস্ট থেকে লাঞ্চ মোটামুটি একখানা নিয়মেই বাঁধা থাকত। আর তিনি এই নিয়মের খুব একটা বেশি বদল করতেন না।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি খেতেন এক গ্লাস নিমপাতার শরবত। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী। বছরের প্রতিটা দিনই এই তেঁতো দিয়ে শুরু করতেন কবিগুরু।
প্রাতরাশে মূলত, দুধ ও বার্লি খেতেন। চিড়ের পোলাও ছিল বেশ পছন্দের। এও জানা যায় যে, গরমকালে সকালে রবি ঠাকুরের পাতে থাকত পান্তা ভাত, পেঁয়াজ আর আলু সেদ্ধ।
দুপুরে কবিগুরু প্রচুর শাক-সব্জি খেতেন। প্রিয় ছিল শুক্তো। সজনে ডাটা দিয়ে ডালও পছন্দ ছিল তাঁর। আমিষের তুলনায়, নিরামিষ খাবারই তিনি বেশি খেতেন। খাওয়া শেষে টক দই মাস্ট। তাতে মেশাতেন অল্প বিট নুন।