কী খেয়ে এই ঠান্ডাতেও এত গরম থাকেন নাগা সন্ন্যাসীরা?
credit: PTI
TV9 Bangla
গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর ত্রিবেণী মহাসঙ্গমের তীরে এখন উৎসবের আমেজ। এসেছে মহাকুম্ভ। ১৪৪ বছরে প্রথমবার এল এই পুণ্য তিথি।
আর সেই সূত্র ধরেই সেজে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ। মহাকুম্ভের পুণ্য তিথিতে মহাসঙ্গমে স্নান করতে ভিড় জমিয়েছেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। এসেছেন নাগা-সাধুরাও।
শুধুই পুণ্যাস্নান নয়। আরও একটি অন্যতম কারণে মহাকুম্ভে গিয়ে থাকেন পুণ্যার্থীরা। তা হল সাধু-সন্ন্যাসীদের সাক্ষাৎ পাওয়া। আর বিশেষ নাগা সন্ন্যাসীদের সাক্ষাৎ পেতে তো বেশ মরিয়া সাধারণ মানুষ।
কঠোর জীবন। সর্বক্ষণ ধ্যানমগ্ন। ধর্মগ্রন্থের জ্ঞানে ভরপুর। অন্যান্য সাধুর থেকে অনেকটাই আলাদা। একজনের সাধারণের কাছে নাগা সন্ন্যাসীর পরিচয় এটাই।
চাইলেই যে কেউ নাগা-সাধু হতে পারেন না। নাগা সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য়ও রয়েছে বেশ কিছু ভারী নিয়ম। ছোটবেলা থেকেই গ্রহণ করতে হয় সন্ন্যাস। তারপর গোটা জীবন কাটাতে ধ্য়ানের মধ্যে দিয়েই।
গায়ে থাকবে একটা সুতোও। নাগা সন্ন্যাসীদের যেন অন্যতম পরিচয় এটিই। শরীর মন শুদ্ধ রাখতেই পোশাক পরেন না তারা।
তবে পোশাক না পরলেও, গোটা শরীরের মেখে থাকেন মৃতদেহে ছাই। যা মন্ত্রপূত। মূলত, শীত থেকে বাঁচতেই এই ছাইয়ের ব্যবহার করে তারা।
আর খাওয়া-দাওয়া? সেটা একেবারেই সাত্ত্বিক। ভাত, গম, রুটি, দুধ, দই, শাকসবজি এই খেয়েই বেঁচে থাকেন তারা। তবে দিনে মাত্র একবারই খাবার খান তারা