আশেপাশে বাজ পড়লে কী করবেন আর কী করবেন না, জেনে নিন
TV9 Bangla
Credit - Getty Images
বিনা মেঘে বজ্রপাত! এ তো প্রবাদ বাক্য। আসলে কেন বাজ পড়ে? বাজ পড়লে সেই সময় কী করা উচিত, আর কী করা উচিত নয়, তা অনেকেই ঠিক করে জানেন না।
প্রতিবছর বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। আসলে বর্ষার আগে আকাশে কিউমিউলোনিম্বাস মেঘের আনাগোনা বাড়ে। তাই বাজ পড়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আসলে 'ক্লাউড টু গ্রাউন্ড লাইটেনিং' বা মেঘ থেকে মাটিতে নেমে আসা বজ্রপাতের জন্য অনেকের প্রাণহানি হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাজ পড়ার সময় কী করবেন আর কী করবেন না।
যদি বাজ পড়ার সময় ফাঁকা জায়গায় থাকেন, তা হলে নিজেকে সঙ্কুচিত করতে হবে। কুঁজো হয়ে মাটিতে বসে পড়তে হবে।
বাজ পড়ার সময় ইলেকট্রিক পোস্টের কাছাকাছি থাকবেন না। বজ্রপাতের সময় বাইকে কোথাও যাবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনও কংক্রিটের আচ্ছাদনে আশ্রয় নেওয়া যায়।
যখন বুঝতে পারবেন বাজ পড়তে পারে বা বাজ পড়ছে তখন ফাঁকা মাঠ থেকে দৌড়ে এসে কোনও বড় গাছের নীচে আশ্রয় নেবেন না। এমন সময় বিদ্যুৎ আকর্ষণ করে বেশি।
বাজ পড়ার সময় ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে বড় গাছের তলাতে আশ্রয় নেবেন না। এ ছাড়া কাঁচা বাড়িতেও ওই সময় থাকা বিপদের। ওই সময় জলে থাকা খুবই বিপজ্জনক।
ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় মৎস্যজীবীদের নদীতে ও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়। এই সময় পুকুর বা বড়ো জলাশয় থেকেও দূরে থাকতে হবে। বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জে বসিয়ে কথা বলা বা ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়।