দেবী জগদ্ধাত্রী কী ভাবে হয়ে উঠলেন 'রানি মা'? জানুন অজানা ইতিহাস
credit: getty images
TV9 Bangla
চন্দনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে নানা গল্প কাহিনি। বিশাল বড় বড় সুউচ্চ সব মাতৃ প্রতিমা। যা দেখতে গেলে ঘাড় কাত করতে হয়।
এ পুজোর ইতিহাস বহু পুরনো। কোনও পুজোর বয়স ৮০ বছর তো কোনও পুজোর বয়স প্রায় ২৫০ বছর। প্রত্যেক বছর এই সব পুজো দেখতেই ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষ।
চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল তেমাথা সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো। চন্দননগরের শিব মন্দিরের কাছেই এই পুজো দেখতে ছুটে ছুটে আসেন ভক্তরা।
সুবিশাল মাতৃ মূর্তি, টানা টানা চোখ দেখে মুগ্ধ হবেন না এমন কেউ নেই! মা এখানে পরিচিত 'রানি মা' নামে। কী ভাবে তেমাথা জগদ্ধাত্রী মায়ের নাম 'রানি মা' হল তার পিছনেও রয়েছে কাহিনি।
শোনা যায় ফরাসি সরকারের দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ছিলেন নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এক বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় কৃষ্ণনগরে গিয়ে মায়ের পুজো দেখে তাঁরও পুজো করার ইচ্ছে হল।
সেই মতো চন্দননগরে ফিরে এসে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন তিনি। যদিও এই কাহিনি নিয়ে অনেক দ্বিমত রয়েছে। তবে সেই সময় চন্দননগরে যত জগদ্ধাত্রী পুজো হত তাঁদের সবাই সেজে উঠতেন ডাকের সাজে।
যখন সারা চন্দননগরে সব মাতৃ মূর্তি সেজে উঠত ডাকের সাজে, তখন কেবল এই তেমাথার মূর্তিকে সাজানো হত সোনালি সাজে। যেন রাজরানি জগদ্ধাত্রী।
মায়ের সেই বিশেষ সাজের কারণেই এই পুজোর নাম হয় রানিমা। আজও সেই একই ভাবে সাজানো হয় মাকে। প্রতিমার উচ্চতা হয় ৩৫ ফুট। লাগে ৩৫ মন খড়, ১০০০কেজি মাটি।