লক্ষ্মীপুজোর সময় মানতেই হবে এই ৮ নিয়ম! নাহলে রুষ্ট হতে পারেন দেবী
credit: TV9
TV9 Bangla Desk
রাত ফুরোলেই প্রায় প্রতিটা ঘরে ঘরে সন্ধেবেলা বেজে উঠবে শাঁখ। ভেসে আসবে 'এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে...।' লক্ষ্মী সম্পদ, শান্তি ও সৌভাগ্যের দেবী। তবে এই পুজো করতে গেলেও মানা প্রয়োজন কিছু বিশেষ নিয়ম।
লক্ষ্মীদেবী পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলার প্রতীক। পুজোর আগে ঘরের ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করে, অগোছালো জিনিস সরিয়ে রাখতে হয়। বিশেষ করে রান্নাঘর, ড্রয়িংরুম এবং প্রবেশদ্বার একদম ঝকঝকে রাখতে হবে। নোংরা, অগোছালো জায়গায় প্রবেশ করেন না দেবী।
ঘর পরিষ্কার রাখুন
লক্ষ্মীপুজোর দিন সকালে গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করা শুভ বলে ধরা হয়। সাদা বা হালকা রঙের পরিষ্কার পোশাক পরা উচিত। অন্তর ও শরীর— দুটোই পবিত্র রাখা এই দিনের মূল মন্ত্র।
শ্বেত বস্ত্র পরুন
মা লক্ষ্মীর মূর্তি বা ছবি পুজোস্থানে রাখার সময় পূর্ব দিকে মুখ করে বসানো সবচেয়ে শুভ। দেবীর সম্মুখে উত্তরমুখী হয়ে বসে পুজো করলে ফল সর্বাধিক পাওয়া যায়। দেবীর আসন হিসেবে পদ্মপাতা ব্যবহার করাই শ্রেয়।
লক্ষ্মীদেবীর প্রতিমা পূর্বমুখে স্থাপন করুন
পুজোর আগে মাটির কলস বা তামার ঘট বসাতে হয় গঙ্গাজল, আমপাতা ও নারকেল সহ। এটি সম্পদ ও জীবনের পূর্ণতার প্রতীক। এছাড়া পুজোর ঘরে-দরজার সামনে ধান-আলতা-চালের আলপনা দিলে মা লক্ষ্মী খুশি হন বলে বিশ্বাস।
আলপনা দেওয়া
সন্ধেবেলায় পুজো শুরুর আগে শুদ্ধ ঘি বা তিলতেলে প্রদীপ জ্বালাতে হয়। দুটো প্রদীপ রাখলে ভাল—একটি দেবীর সম্মুখে, অন্যটি দক্ষিণ দিকে। ধূপ, দীপ, ফুল, চন্দন ও ভোগ সবই নির্মল হাতে স্পর্শ করতে হয়।
প্রদীপ জ্বালান
লক্ষ্মীপুজোর দিনে কোনও মাংস, মাছ বা ডিম রান্না করা নিষেধ। ভোগে থাকতে পারে নারকেল, মিষ্টি, পায়েস, ফল, মাখন, দুধ ও মধু। বাড়ির সবাইকে নিরামিষ আহার গ্রহণ করা উচিত। অবশ্য কারও কারও বাড়িতে আমিষ ভোগ নিবেদনের প্রথা রয়েছে।
ভোগের বিশুদ্ধতা
পুজোর মূল মুহূর্ত সন্ধ্যার আরতি। পরিবারের প্রত্যেকে একসঙ্গে বসে লক্ষ্মীকে প্রণাম করলে ঘরে ঐক্য ও শান্তি আসে। আরতির পর প্রদীপটি সারারাত জ্বালিয়ে রাখা শুভ বলে মনে করা হয়।
সন্ধ্যারতি
লক্ষ্মী শুধু সম্পদের নয়, উদারতারও প্রতীক। তাই পুজোর দিনে দরিদ্র বা ভিক্ষুককে দান করলে বা অতিথিকে মিষ্টি খাওয়ালে দেবী বিশেষভাবে সন্তুষ্ট হন। এটি সম্পদের সঠিক প্রবাহের চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়।