আশ্বিন মাসে এই ভাবে শিবের উপাসনা করুন, ধেয়ে আসবে অর্থ!
credit: getty images
TV9 Bangla
শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, শাস্ত্র মতে এই চার মাসকে একসঙ্গে চাতুর্মাস বলে। হিন্দু ধর্মে এই চার মাস আধ্যাত্মিক যোগ সাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই সময়ে পূজিত হন হিন্দু ধর্মের বেশিরভাগ দেব-দেবী।
কথিত এই চার মাস যোগনিদ্রায় যান সংসারের পালন কর্তা ভগবান বিষ্ণু। তাই এই সময়ে স্থিতির সমস্ত দায়ভার থাকে মহাদেবের উপরে। তাই এই সময়ে ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি মহাদেবের পুজো করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
কথিত এই চার মাসে মানুষের মধ্যে রজো ও তমোগুণের অধিক প্রভাব দেখা যায়। ফলে অঘটন ঘটার আশঙ্কা থাকে। তাই এই সময়ে শরীর ও মনের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা আবশ্যিক। এই সময়ে তাই কৃষ্ণভক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে চাতুর্মাস বা চাতুর্মাস্য ব্রত পালনের চল রয়েছে।
চাতুর্মাসের সময়ে আধ্যাত্মিক উপাসনা এবং উপবাস করা উচিত। কথিত তাতে শরীর ও মনের শুদ্ধি ঘটে। দেহ ও মনের উপর নিয়ন্ত্রণ আসে। শ্রাবণ মাসে দেবশয়নী একাদশী থেকে শুরু হয় চাতুর্মাস। এই দিনে যোগ নিদ্রায় যান ভগবান বিষ্ণু।
শ্রাবণ মাস ভগবান শিবের উপাসনার জন্য প্রসিদ্ধ। চাতুর্মাসে শ্রী বিষ্ণু ও শিবের পুজো করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। এই সময়ে খুব ভোরে শিব ও শ্রীবিষ্ণুর পুজো করা ভাল।
কথিত গঙ্গা জল দিয়ে মহাদেবকে স্নান করিয়ে ভক্তিভরে দেবাদীদেবের আরাধনা করলে ভগবান তুষ্ট হন। ভক্তি সহকারে শিব স্ত্রোত্ত উচ্চারণ করলে পূরণ হয় মনবাঞ্ছা।
এই সময় সাধ্যমত দাতব্য কাজ করতে পারেন। চাতুর্মাস্যে দান ধ্যান করলে ভাল পাওয়া বলে বিশ্বাস। এই সময়ে জীব সেবা করলেও পুণ্য অর্জন হয়। জীবনে সাফল্য আসে।
চাতুর্মাসের এই সময় তুলসী পুজো করতেও বলেন অনেকে। দেবী তুলসী ভগবান বিষ্ণুর খুব প্রিয়, তার পুজো করলে ধন, সমৃদ্ধি এবং বৈবাহিক জীবনে সুখ আসে।