কোদাল হাতে রাস্তায় নামতে হল পুলিশকর্তাকে, কারণ জানলে চমকে যাবেন
credit:TV9
TV9 Bangla
সাম্প্রতিক কালে বাংলায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠেছে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। তা নিয়ে সতর্ক করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!তোলা তোলার অভিযোগে, ইতিমধ্যেই খাঁড়ার ঘা নেমে এসেছে পুলিশ কর্তা-কর্মীর ঘাড়েও। গত সপ্তাহেই নর্থ পোর্ট থানার দুই পুলিশ কর্তা হয়েছেন সাসপেন্ড।
কিন্তু তা বলে রাস্তায় ঝাঁটা হাতে পুলিশ!ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় নেমেছে বেলচা,কোদাল,ঝাড়ু হাতে। রবিবার ছুটির দিনে দুর্গাপুরে এমন দৃশ্য দেখা গেল। পথ চলতি অনেকেই রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে অবাক হয়ে দেখছেন।
পুলিশকে ঝাঁটা হাতে দেখে প্রথমটায় চমকেই ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টা বুঝতে পারেন না তাঁরা। কী হচ্ছে, সেটা বুঝতেই বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েন। আসলে যে রাস্তা সাফাইয়ের কাজে নেমেছে পুলিশ।
সাধু রামচাঁদ মুর্মু সরণী সংলগ্ন বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পাশের জওহরলাল নেহেরু রোড। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় বৃষ্টির জেরে মোরাম,বালি এসে জমছে। রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে বাইক, স্কুটি নিয়ে অনেকে স্কিট করে পড়ে গিয়েছেন।
আগাছায় জমেছে রাস্তার দুই পাশ। দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ সেই সব বালি,মোরাম, আগাছা সাফ করতে নেমে পড়ল রবিবার। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সঞ্জীব তিওয়ারির নেতৃত্বে দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে বেলচা, ঝাড়ু হাতে রবিবার রাতে রাস্তা পরিষ্কার করতে শুরু করেন।
যা দেখে পুলিশকর্তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী। বাইক চালক তপন অধিকারী বলেন, "রাস্তার যা অবস্থা ছিল তাতে দুর্ঘটনা ঘটছিল। বাইকের চাকা পিছলে যাওয়ার ভয় ছিল। ট্রাফিক পুলিশ ভাল কাজ করছে।"
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সঞ্জীব তিওয়ারি বলেন, "এখানে একটা স্কুলও রয়েছে। বাচ্চাগুলোর অসুবিধা হচ্ছিল। রবিবার ছুটির দিন সকাল থেকে নিজেরাই রাস্তা পরিষ্কার করে ফেললাম।"
যে পুলিশকে ঘিরে এত গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ, সেই পুলিশেরই এই ভূমিকা দেখে সত্যিই আপ্লুত স্থানীয় বাসিন্দারা। বলছেন, "আসলে সবাই তো আর খারাপ হয় না।"