এক প্রেশার কুকারের রান্না খেয়ে কেটেছে ২০ বছর, সেই ব্যক্তির সঙ্গে যা ঘটল…
TV9 Bangla
Credit - Getty Images
কমবেশি সকলের বাড়ির রান্নাঘরে প্রেশার কুকার রয়েছে। যা দিয়ে অনেক রান্না হয়। প্রেশার কুকার থেকে যেন অঘটন না ঘটে, সেদিকে অনেকে নজর রাখেন। তবে এ খেয়াল থাকে না যে সেটি কতদিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে!
মুম্বইয়ের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেশার কুকার নিয়ে এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসক তার যে ব্যখা দিয়েছেন, তাতে যে কেউ বিচলিত হতে পারেন।
ডক্টর বিশাল গাবালে জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের এক ৫০ বছরের ব্যক্তি গুরুতর সীসা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার সীসা বিষক্রিয়ার অন্যতম কারণ শুনলে যে কেউ চমকে যাবেন।
চিকিৎসক বিশালের কথায়, ওই ব্যক্তির বাড়িতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এক প্রেশার কুকারে রান্না হয়েছে। সেখান থেকেই ওই ব্যক্তির শরীরের মাত্রাতিরিক্ত সীসা প্রবেশ করেছে।
ওই ব্যক্তি ভুলে যাওয়া, পায়ের ব্যথা ও ঝিনঝিনে ভাব, প্রবল ক্লান্তির মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শুরুতে নানা পরীক্ষা করে কিছুই ধরা পড়েনি।
এরপর তার শরীরে কোনও ভারী ধাতুর সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা বুঝতে যখন হেভি মেটাল স্ক্রিনিং করা হয়, তখন দেখা যায় সেই ব্যক্তির রক্তে সীসার মাত্রা ২২ মাইক্রোগ্রাম/ডেসিলিটার।
যা থেকে বোঝা যায় যে ওই ব্যক্তি সীসা বিষক্রিয়ার আক্রান্ত হয়েছেন। ওই রোগীকে এরপর চিলেশন থেরাপি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ডক্টর বিশাল জানান, পুরনো ও নষ্ট হয়ে যাওয়া অ্যালুমিনিয়ামের কুকার যখন অ্যাসিডিক বা টক খাবারের সংস্পর্শে আসে, তখন সীসা ও অ্যালুমিনিয়ামের কণা খাবারে মেশে।
তাঁর কথায়, অতিরিক্ত সীসা স্নায়ুতে গেলে ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লক করে ও ব্রেনের পুরো সিগন্যাল সিস্টেমকে স্লো করে দেয়। এই বিষক্রিয়া এমনই যে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে কোনও ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে।