সারাদিন করবা চৌথের উপোস করেও মিলবে না কোনও ফল, যদি না মানেন এই নিয়ম
credit: TV9
TV9 Bangla Desk
করবা চৌথ কেবল একটি আচার নয়, দাম্পত্যের ভালবাসা, আস্থা ও ত্যাগের প্রতীক। সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত একবিন্দু জল না খেয়ে উপোস করেন স্ত্রী। তবে এই পবিত্র ব্রত কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম না মানলে তা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। জেনে নিন ব্রত পালনের নিয়ম।
করবা চৌথ
করবা চৌথের দিনে সূর্য ওঠার আগে শাশুড়ির হাতে দেওয়া 'সর্গি' খাওয়ার প্রথা রয়েছে। এটি শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্কের পবিত্র বন্ধনের প্রতীক। সারাদিন শরীরে শক্তি জোগায়। এটি না খেলে ব্রতের আধ্যাত্মিক পূর্ণতা নষ্ট হয়।
সর্গি খাওয়া
একবার সূর্যোদয় হয়ে গেলে কোনও খাবার বা জল গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। তা করলে উপবাসের পবিত্রতা ভঙ্গ হয়। এই কঠোর সংযমই ব্রতের মূল আত্মা।
সূর্যোদয়ের পর জল বা খাদ্যগ্রহণ
করবা চৌথে লাল, গোলাপি বা মেরুন রঙ শুভ বলে মানা হয়। এটি দাম্পত্য সুখ, ভালোবাসা ও উর্বরতার প্রতীক। কালো বা সাদা পোশাক অশুভ ধরা হয়।
শুভ রঙের পোশাক
বিকেলে এও স্ত্রীরা একসঙ্গে হয়ে করবা চৌথের ব্রতকথা শোনেন। এটি না শুনলে ব্রতের ফল অসম্পূর্ণ থাকে, কারণ এই গল্পেই দেবী পার্বতী ও দেবতার আশীর্বাদ নিহিত থাকে বলে বিশ্বাস।
ব্রতকথা
'করবা' অর্থাৎ মাটির হাঁড়ি। এই মাটির হাঁড়ি দিয়ে গৌরী-গণেশের পুজো করাই এই উৎসবের প্রাণ। এটি না করলে ব্রতের শুভফল অসম্পূর্ণ থাকে বলে বিশ্বাস।
করবা বা মাটির হাঁড়ি পুজো
চাঁদ ওঠার পর চালনি দিয়ে প্রথমে চাঁদ দেখা, তারপর স্বামীর মুখ দেখা এক বিশেষ রীতি। এটি দাম্পত্যের আস্থা ও স্নেহের প্রতীক। এটি না করলে ব্রতের মূল অর্থ হারায়।
স্বামীর মুখ না দেখা ও চাঁদের আরতি না করা
ব্রতর ফল পেতে হলে সংযম খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন অন্যের প্রতি খারাপ ব্যবহার, অন্যকে কটূ কথা বলা বা রাগ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে হবে। সংযম ও শান্তভাব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। রাগ বা অশুভ চিন্তা ব্রতের শুভফলকে নষ্ট করে দেয় বলে বিশ্বাস।
সংযম রাখুন
চাঁদ দেখা শেষে স্বামীর হাত থেকেই প্রথম জলপান করাই এই ব্রতের সমাপ্তির রীতি। এটি না মানলে ব্রতের পরিসমাপ্তি অসম্পূর্ণ থেকে যায়, কারণ এতে স্বামীর আশীর্বাদ গ্রহণের প্রতীক নিহিত।