প্রেমিকা সঙ্গে আউটিং-এ গেলে ভুলেও খাবেন না এই সব খাবার!
credit: Getty Images, Tv9
TV9 Bangla
কেবল মুখ ভাল করে পরিষ্কার না করলে বা কোনও রোগ হলেই মুখে দুর্গন্ধ হয়, বিষয়টা এমন নয়। কখনও কখনও কেবল উলটো পালটা খাবার খাওয়ার জন্য মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। তাই প্রেমিকার সঙ্গে আউটিং প্ল্যান থাকলে দূরে থাকতে হবে কিছু খাবার থেকে।
কেন দুর্গন্ধ হয়?
কাঁচা রসুন খাওয়া অনেকের অভ্যাস। তবে রসুনে থাকা সালফার যৌগ মুখ এবং রক্তপ্রবাহে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। ব্রাশ করলেও পুরোপুরি এই গন্ধ ঢেকে রাখা যায় না। মুখ থেকে বাজে দুর্গন্ধ ছাড়ে।
রসুন
কাঁচা পেঁয়াজ ছাড়া মুখে খাবার রোচে না এমন ব্যক্তির সংখ্যা নেহাত কম নয়। কাঁচা পেঁয়াজে থাকে প্রচুর পরিমাণে সালফার। যা মুখে তীব্র দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। হজমের পরও এই গন্ধ ফিরে আসতে পারে।
পেঁয়াজ
কফি মুখ শুকিয়ে দেয় এবং লালা প্রবাহ কমায়। কম লালা মানে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ার সুযোগ বেশি। তাই কফি খেলেও দুর্গন্ধ হতে পারে।
কফি
অ্যালকোহল শরীরে জলশূন্যতা এবং মুখের শুষ্কতা বাড়ায়। শুকনো মুখ দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে, শ্বাসপ্রশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
বিয়ার
টুন মাছ বিশেষ করে টিনজাত মাছ যেমন টুনা মুখে তীব্র মাছের গন্ধ রেখে যায়। এর প্রোটিন ভেঙে মুখে দুর্গন্ধ আরও বাড়ায়।
টুনা মাছ
রেড মিটে প্রচুর প্রোটিন থাকে, যা হজম হতে সময় নেয়। এই প্রোটিন ভেঙে মুখে এবং অন্ত্রে সালফার যৌগ তৈরি হয়, যা দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। হজমে বেশি সময় নেয় বলে এই যৌগ রক্তে মিশে ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাসে ফিরে আসে, দুর্গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
রেড মিট
দুধ, পনির বা চিজে থাকা প্রোটিন মুখের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়। যা পরে ভোলাটাইল সালফার যৌগে পরিণত হয়। দুর্গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়।