ক্রেডিট কার্ডে সোনা কিনছেন? এই ভুল করলে সর্বশান্ত হতে হবে
credit:Getty Images
TV9 Bangla
বর্তমানে সোনার যা দাম হয়েছে, তাতে সোনার গয়না কেনা খুবই ব্যয়বহুল একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরনের কেনাকাটার জন্য তাই অনেকেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন।
২০১৩ সালে, আরবিআই সোনা আমদানি এবং খুচরা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়। ব্যাংকগুলিকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সোনার কেনার ক্ষেত্রে EMI কিছু নির্দেশ দেয়।
নিয়ম অনুসারে সাধারণত ৫০০০ টাকার উপরে কেনাকাটা EMI-তে রূপান্তরের জন্য যোগ্য। তবে অনেকেই ক্রেডিট কার্ডে সোনা কেনার সময় কিছু ভুল করে বসেন। আপনিও সেই ভুল করছেন না তো?
যদি নির্দিষ্ট সময়ে পুরো টাকা পরিশোধ না করেন, তাহলে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার প্রতি বছর ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। আদপে গয়না কেনা অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে।
ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা ছাড়া ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে ঋণের বোঝা বেড়ে যেতে পারে। অনেক ক্রেতা অতিরিক্ত খরচ করেন এই ভেবে যে তারা পরে শোধ করবেন। সময়ে বিল পরিশোধ না করলে, চার্জ আরও বেড়ে যায়।
ক্রেডিট কার্ড আপনাকে তাৎক্ষণিক কেনাকাটা করার সুযোগ দেয়। প্রচুর পরিমাণে নগদ অর্থ বহন করার দরকার নেই। এই পদ্ধতি আরও নিরাপদ এবং সুবিধাজনক বটে।
অনেক ক্রেডিট কার্ডে গয়না কেনার ক্ষেত্রে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ক্যাশব্যাক বা ছাড় দেয়। কিছু ব্যাঙ্ক বিশেষ অফার দেওয়ার জন্য জুয়েলার্সের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে। এতে সামগ্রিক খরচ কমতে পারে।
বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ড ৪৫-৫০ দিন পর্যন্ত সুদ মুক্ত সময়কাল অফার করে। নির্ধারিত তারিখের আগে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করলে আপনি সুদের চার্জ এড়াতে পারবেন।