মশার যম কলার খোসা, আগে জানতেন? কীভাবে ব্যবহার করবেন?
Credits:, Getty Images
TV9 Bangla
কলার একাধিক অপকারিতা আমাদের প্রত্যেকের জানা। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে আরও নানা স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করতে পথ হতে পারে এই কলা। কিন্তু কলার খোসা? সেটাকে সাধারণত টান মেরে জঞ্জালে ফেলে দিই আমরা।
এই জঞ্জালটাই যে মশা তাড়াতে অব্যর্থ ওষুধ সেটা জানতেন? এমনিতেই এই বর্ষাকাল এলেই বাড়ে মশার দাপাদাপি। কেউ বয়ে বেড়াচ্ছেন ম্যালেরিয়া তো কেউ আবার বয়ে বেড়াচ্ছেন ডেঙ্গি।
নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে মশাকে দূরে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে কাজে লাগে কলার খোসা। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা কামড়ের ফলে হওয়া লালচে ভাব এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
পলিস্যাকারাইড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় যৌগ ত্বককে শান্ত করে এবং চুলকানির উপশম ঘটায়। মশার কামড়ের জায়গায় কলার খোসা লাগালে এর প্রাকৃতিক এনজাইমগুলি মশার লালায় থাকা প্রোটিন ভেঙে দেয়, যা চুলকানি ও ফোলা ভাবের কারণ হয়।
দুটি ভাবে কলার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। কলার খোসার ভিতরের অংশ মশার কামড়ের উপর ঘষে লাগান। এতে সঙ্গে সঙ্গে চুলকানি কমে এবং ফোলাভাবও হ্রাস পায়।
খোসা চটকে নিন এবং তার সঙ্গে সামান্য গ্লিসারিন বা গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
কলার খোসা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং তা আমাদের ত্বক ও দাঁতের জন্যও অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত। কলার খোসায় থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ, যা দাঁতের দাগ তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খোসার ভিতরের দিকটি কয়েক মিনিট দাঁতের উপর ঘষলে সময়ের দাঁত উজ্জ্বল হতে পারে।
এছাড়াও ত্বক আর্দ্র রাখতে, ব্রণ নিরাময়ে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করতেও সাহায্য করে কলার খোসা। কলার খোসা নিয়মিত ব্যবহারে সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা কমে।