11 JUL 2025

এই সাদা জলই পারে আপনার চুলের সব রকম সমস্যার সমাধান করতে! জানুন কীভাবে?

Credits:, TV9

TV9 Bangla

রুক্ষ চুল, চুল ফাটা, চুল পড়া—এই সমস্যা নতুন কিছু নয়।  দূষণ, বর্ষার জল এই সব কিছুই চুলের নানা সমস্যা নেপথ্যে রয়েছে। তবে সামান্য যত্ন করলেই কিন্তু চুলের নানা সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।

দামী প্রোডাক্টের বদলে একটি মাত্র ঘরোয়া উপায়ে হতে পারে সমস্যার সমাধান। চিন এবং জাপানের মতো দেশে বহু বছর ধরে এক ধরনের হালকা দুধের মতো আবছা জলের মাধ্যমে চুল ধোয়া হয়। যা স্ক্যাল্পেও পুষ্টি জোগাতে উপযোগী।

অনেকে একে চুলের জন্য একপ্রকার 'এলিক্সির' বলেও মনে করেন। বিষয়টি কিছুই নয় বরং রাইস ওয়াটার। বা চাল ধোয়া জল। চাল সেদ্ধ বা ভিজিয়ে রাখার পরে যে সাদা স্টার্চযুক্ত জল পাওয়া যায় তা আপনার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপযোগী।

রাইস ওয়াটার কোনও ট্রেন্ড নয়, বরং এর ইতিহাস বহু পুরনো। ফার্মেন্টেড চালের মাড় পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস এবং কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড, যা চুল ও চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়।

এর প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড চুলকে মজবুত করে, ভলিউম বাড়ায় এবং টেক্সচার উন্নত করতে সাহায্য করে। চালের মাড় দিয়ে চুল ধুলে চুল ভাঙা কমে, বাড়ে গঠন ও বৃদ্ধি। কীভাবে ব্যবহার করতে, সঠিক নিয়মটিও জেনে নিন।  

প্রথমে আধা কাপ বা এক কাপ চাল ভাল করে ধুয়ে নিন যাতে ময়লা দূর হয়। তারপর এতে ২-৩ কাপ জল দিয়ে সেদ্ধ করুন বা ভিজিয়ে রাখুন যতক্ষণ না জলটা হালকা সাদা হয়ে যায়। এতে চাল থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি বেরিয়ে আসে।

এবার জলটিকে ২৪-৪৮ ঘণ্টা রুম টেম্পারেচারে রেখে দিন যাতে এটি ফার্মেন্টেড হয়। জল তৈরি হয়ে গেলে চুলে লাগান এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। এতে রক্তসঞ্চালন বাড়ে ও পুষ্টি ভালোভাবে প্রবেশ করে। চাইলে শ্যাম্পুর পরেও ব্যবহার করতে পারেন।

২০-৩০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকলেও, সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করা বেশ কার্যকর বলে ধরা হয়। মনে রাখবেন—সব চুলের ধরন এক রকম নয়। অতিরিক্ত প্রোটিন চুলে সমস্যা তৈরি করতে পারে। যদি স্ক্যাল্পে জ্বালা বা অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, তবে ব্যবহার বন্ধ করুন।