বিছানায় সুখ পেতে চান? আজই শোওয়ার ঘর থেকে সরাতে হবে এই জিনিসগুলি
credit: getty images
TV9 Bangla
যত দিন যাচ্ছে ততই যেন শিথিল হছে সম্পর্কের বাঁধন। বিয়ে হওয়ার দু-চার বছরের মধ্যেই ভেঙে যাচ্ছে বহু বিয়ের সম্পর্ক। সবাই বলেন এই সবই হচ্ছে এই প্রজন্মের মানসিকতার দোষ। কিন্তু আপনি কি জানেন এর পিছনেও রয়েছে বাস্তু শাস্ত্র?
বিবাহ সম্পর্ক টিকে থাকার একটা বড় দিক কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক। বিছানায় যদি মিলন না হয়, তাহলে ১৪ বছরের বিয়ে হোক বা ১৪ মাসের বিয়ে, ফিকে হতে শুরু করে সম্পর্কের সুতো। তাই বাস্তু শাস্ত্র বলছে শয়নকক্ষের বাস্তু দোষ কাটাতে হবে। কিন্তু কী করে?
বাস্তুশাস্ত্র মতে শোওয়ার ঘরে কম্পিউটার বা টিভি রাখতে নেই। ব্যবসা বা অফিস সম্পর্কিত কোনও কিছু বেডরুমে থাকা উচিত নয়। না হলে দাম্পত্য জীবনের সুখে বাধা আসে। যা বিচ্ছেদ পর্যন্ত যেতে পারে।
শোওয়ার ঘরে কোনও হিংসাত্মক বা যুদ্ধের ছবি রাখবেন না। এতে যুগলের মধ্যে বিবাদের সম্ভাবনা বাড়ে। ঘরে নেতিবাচক শক্তি তৈরি হয়। বদলে হাসি-খুশি, প্রেম বা শান্তির ছবি রাখুন। এতে মিষ্টতা বজায় থাকবে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আগে একটা সিঙ্গেল খাটের সঙ্গে পরে আরেকটি খাট জুড়ে ডবল বেড করা হয়, বা ডবল বেডে দুটি সিবগেল তোষক থাকে। বিছানায় ফাটল থাকলে, সেই ফাটল কিন্তু আপনার সম্পর্কেও ধরতে পারে। তাই সাবধান!
জীবনসঙ্গী পাওয়ার আগেও কিন্তু সাবধান হবে। বেডরুমের দরজার সামনে মাথা বা পা রেখে ঘুমোনো উচিত নয়। এটি অশুভ বলে মনে করা হয়। তাই বিবাহ যোগ্য হলে এক কাজটি করা কিন্তু চলবে না মোটে।
বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে মিশতে না পারলে বা মনোমালিন্য চলতেই থাকলে, বেডরুমে ফেং শুই-এর লাভ নট এবং লাভ বার্ড স্থাপন করা উচিত। ফেং শুই অনুসারে, এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর হয়, পারস্পরিক ভালবাসা বৃদ্ধি পায়।
তবে মনে রাখবেন এই সবই কিন্তু বিশ্বাসের ব্যপার। আসল সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি রয়েছে নিজেদের হাতেই। নিজের সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। একান্তে সময় কাটাতে হবে। নিজেদের সম্পর্কের প্রতি নিজেদের আরও যত্নশীল হতে হবে। তবেই কাটবে সব বাঁধা।