মাছে-ভাতে বাঙালি। এ কথা বহুল প্রচলিত। ভারতের অনেক অংশ ভাতই প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেকের তিনবেলা ভাত ছাড়া চলে না।
ভাত স্বাদেও ভালো। সহজে হজমযোগ্যও। ভাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট ও ডায়েটারি ফাইবারের মতো পুষ্টিগুণ থাকে।
প্রচুর মানুষ এমন রয়েছেন যে, প্রতিদিন তিন বেলা ভাত খান। এমনটা করা কি ঠিক? এতে শরীরে কি কোনও সমস্যা হয়? পুষ্টিবিদদের মতে, গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন ভাত খাওয়া যেতে পারে।
অবশ্য ভাত খাওয়ার পরিমাণের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। ভাতে যেহেতু কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে তাই শরীরে শক্তি জোগান দেয় বেশি।
দৈনন্দিন যারা নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত, সেই সকল ব্যক্তিদের অনেকে ভাত খাওয়া পছন্দ করেন। সাধারণত ভাত খুব দ্রুত হজন হয়। এটি খেলে পেট ঠান্ডাও হয়।
ডায়রিয়া, বদহজম ও অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রে ভাত খাওয়া ভালো। ভাত প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন-মুক্ত। ডায়াবেটিস রোগীদের, যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাঁদের আবার বেশি ভাত না খাওয়াই ভালো।
কারণ এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বেশি পরিমাণে ভাত খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যায়। যার ফলে ওজন বেড়ে যায়।
সারা দিনে বার বার ভাত খেলেই যে ক্ষতি হবে, তা কিন্তু নয়। তবে পুষ্টিবিদের কথায়, একজন সুস্থ মানুষের জন্য সারা দিনে যতটা চালের ভাত খাওয়া দরকার, সেই মাপ ঠিক রেখে বারে বারে ভাত খেলে কোনও সমস্যা হয় না।