একটি ক্ষেত্রেই চুল কাটার অনুমতি পান নাগা সন্ন্যাসীরা! কখন জানেন?
credit: PTI
TV9 Bangla
মহাকুম্ভের অন্যতম আকর্ষণ নাগা সাধু বা সন্ন্যাসীনিরা। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার উলঙ্গ, তো কেউ গেরুয়া বসন পরিহিতা। গলায়-হাতে রুদ্রাক্ষের মালা।
মাথায় ইয়া বড় জটা। সেই লম্বা চুল প্রায় আঠালো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল তাঁরা কি সারা জীবনে কখনও চুল কাটতে পারেন না?
নাগা সাধুরা তাঁদের চুল সাধারণত কাটতে পারে ঠিকই তবে তাঁদের সব সময় লম্বা চুল রাখতে হয়। লম্বা চুল এবং জটা তাঁদের অন্যতম পরিচয়।
নাগা সাধুদের চুল ১০ ফুট অবধিও লম্বা হতে পারে। সেই চুল বালি এবং ছাই দিয়ে সাজানো হয়। নিয়ম অনুসারে নাগা সাধুদের শিখা সূত্র ত্যাগ করতে হয়।
এই লম্বা চুক তাঁদের আধ্যাত্মিকতা, ধ্যান এবং তপস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। লম্বা চুল একটি নাগা সাধুর জীবনধারা এবং পরিচয়ের একটি অংশ। চুল ধুতেও ছাই ব্যবহার করেন তাঁরা।
বিশ্বাস লম্বা চুল তাঁদের আরও শক্তিশালী করে তোলে। সেই চুল শক্তিকে আকর্ষণ করে। বিশ্বাস এই চুলের মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত হয় মহাজাগতিক শক্তি।
নাগা সাধুরা চুলকে প্রকৃতির অংশ বলে মনে করেন। এঁরা শিবের উপাসক হন। যে কোনও রকম আসক্তি থেকে দূরে থাকেন। জাগতিক বস্তু এঁদের কাছে মূল্যহীন।
এমনিতে নাগা সাধুদের চুল কাটার অনুমতি না থাকলেও, গুরুর মৃত্যু হলে তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য শিষ্যরা নিজের চুল বলি দেন।