7th July, 2025

ইউরিক অ্যাসিড মাথাচাড়া দিলে শরীরের কোন কোন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়?

TV9 Bangla 

Credit - Pinterest, Getty Images 

যদি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বেড়ে যায়, তা হলে তাকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলা হয়। এই অবস্থা ধীরে ধীরে শরীরের অনেক অঙ্গকে প্রভাবিত করে।

সময়মতো যদি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের বেড়ে যাওয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তা হলে এটি গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড আসলে শরীরে উপস্থিত পিউরিন নামক একটি উপাদানের ভাঙনের মাধ্যমে তৈরি হয়। স্বাভাবিক অবস্থায়, এটি কিডনি দ্বারা ফিল্টার করা হয় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।

কিন্তু যখন এর উৎপাদন বেশি হয় বা কিডনি এটি সঠিকভাবে বের করতে পারে না, সেই সময় তা শরীরে জমা হতে শুরু করে। বাড়তে থাকে নানা সমস্যা।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে জয়েন্টে প্রভাব পড়ে। গাউট হতে পারে। ম্যাক্স হাসপাতালের ডক্টর রোহিত কাপুর জানিয়েছেন, এর ফলে পায়ের আঙুল, হাঁটু, গোড়ালি ও আঙুলের জয়েন্ট ফুলে যেতে পারে, তীব্র ব্যথা হতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে, রক্তচাপ এবং হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে, রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে।

এর ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। পরিপাকতন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে, উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিড শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে।

শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর ফলে গ্যাস, বদহজম এবং খিদে না পাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের ফলে টোফাস নামে কিছু কঠিন গাউট হতে পারে।