06 JUL 2025

মেয়েদের বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই— কেন? আসল কারণটা জানেন?

credit:,Facebook

TV9 Bangla

'মেয়েদের বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই'ছোটবেলা থেকেই এই বিষয়টি শেখানো হয় আমাদের। কিন্তু কেন? ছেলেদের বয়স বলতে কোনও বাধা না থাকলে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই ধারা কেন? অনেকেই বলবেন এটাই ভদ্রতা।

কথাটি একটি প্রচলিত সামাজিক ভদ্রতা হিসেবে প্রচলিত হলেও এর পেছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যা। 'মেয়েদের বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই' কেন সেটাও জেনে রাখুন।  

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা - বয়স একটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত তথ্য, যেটি কেউ প্রকাশ করতে চান না—পুরুষ বা মহিলা, উভয়ের ক্ষেত্রেই। মেয়েদের ক্ষেত্রে সামাজিকভাবে বয়সের প্রতি অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে, ফলে এটি নিয়ে প্রশ্ন করলে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করেন।

সৌন্দর্য ও বয়সের অযথা তুলনা - সামাজিকভাবে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে মেয়েদের সৌন্দর্য কেবলমাত্র তাদের তরুণ বয়সের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ফলে কোনও নারী একটু বয়সে বড় হলেই তাঁকে 'বুড়ি' বা 'অপ্রীতিকর' রূপে চিত্রিত করা হয়। এই ধরনের মানসিকতা মেয়েদের আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে।

সামাজিক চাপ  - বয়স জানার পর মেয়েদের বিয়ে, ক্যারিয়ার, সন্তান ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু হয়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে ছেলেদের উপরে সেই চাপ সব সময় পড়ে না। কিন্তু মহিলাদের নানা টেরাবেঁকা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। যা মেয়েদের ওপর বাড়তি সামাজিক চাপ তৈরি করে।

বয়স দিয়ে 'মূল্যায়ন' করার প্রবণতা - অনেক সময় বয়স জেনে একজন মহিলার যোগ্যতা, আকর্ষণ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এই রকম মানসিকতা নারীকে হেয় করার মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়।

আত্মপরিচয়ের অধিকার - প্রত্যেক নারী তাঁর নিজের মতো করে নিজেকে প্রকাশ করতে চান। বয়স যদি তাঁর পরিচয়ের একমাত্র মানদণ্ড হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তা তাঁর নিজস্ব স্বতন্ত্রতা ক্ষুন্ন করে।

মেয়েদের বয়স জিজ্ঞেস না করার বিষয়টি কেবল সামাজিক ভদ্রতা নয়, বরং এটি সম্মান ও সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ। বয়স জানার চেয়ে মানুষ হিসেবে কার কী চিন্তা, কী অভিজ্ঞতা—তা বোঝা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।