কথিত আছে, দুর্গা-পুত্র কার্তিক অবিবাহিত ছিলেন। তবে এই তথ্য নিয়ে নানা কাহিনি রয়েছে।

পৌরাণিক তথ্য বলছে, দানবকূল বধ করে বাড়ি ফেরার সময় এক দেবকন্যাকে দেখেন কার্তিক।  তাঁর নাম উষা।

রূপবতী দেবকন্যার প্রেমের ফাঁদে পড়েন কার্তিকেয়। বিয়ের প্রস্তাবও দেন তিনি। উষাকে নিয়ে কৈলাসে মা দেবী পার্বতীর অনুমতি নিতে যান।

ধানক্ষেতে উষাকে দাঁড় করিয়ে অনুমতি চাইতে গেলে পার্বতী এককথায় রাজি হয়ে যান। অনুমতি পেয়েই বিয়ের জন্য উষার কাছে ফিরে আসেন।

কিন্তু মাঝপথে মনে পড়ে যায়, আসার সময় মারে প্রণাম করা হয়নি। তাই আবার ফিরে যান কৈলাসে। গিয়ে দেখেনে পার্বতী রান্নাঘরে ঢুকে তাড়াহুড়ো করে খাবার খাচ্ছেন।

এমন অবস্থা দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলে দেবী পার্বতী জানান বাড়িতে নতুন বৌ এলে যদি পরে খেতে না দেয়, তাই আগেই খাবার খেয়ে নিচ্ছেন।

দেবী পার্বতীর এমন কথা শোনার পর বিয়ে বাতিল করে দেন কার্তিক। তারপর থেকে প্রতিজ্ঞা করেন আর কখনও বিয়ে করার কথা ভাববেন না।