এক অসাধ্য সাধন করেছেন বিজ্ঞানীরা। শুনেই চমকে গেলেন তো? আদতেই এমনটা হচ্ছে। তবে এই পদ্ধতিটি এখনও বড় পরিসরে ব্যবহৃত হচ্ছে না।
আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই সারা বিশ্বের কৃষকরা পরিবেশের রক্ষা করতে আর উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু করবে।
এই পদ্ধতি আয় বাড়াতেও সাহায্য করবে। বিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন ‘বৈদ্যুতিক বাগান’ বা ‘বৈদ্যুতিক চাষ’। কী এই বৈদ্যুতিক বাগান?
এটি একটি নতুন ধরনের কৃষি কৌশল, যা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে চলেছেন। বিভিন্ন দেশের গবেষকরা পরিবেশকে রক্ষা এমন বাগান তৈরি করছেন।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের প্ল্যান্ট মরফোজেনেসিস ল্যাবরেটরিতে একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বীজ থেকে যে কোনও ফসল বেড়ে উঠছে খুব সহজেই।
তাও আবার বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার করে। তারা বাঁধাকপি চাষ করেছেন। আর সেই পুরো পদ্ধতিতে লক্ষ্য করেছেন যে, ফসলের কোনওরকম ক্ষতি হচ্ছে না।
বিভিন্ন কিউব তৈরি করা হয়েছে। আর তাতেই বৈদ্যুতিক শকের ছোটো ছোটো ডোজ় দেওয়া হচ্ছে। আর তাতেই দ্রুত ফলছে ফসল।
বৈদ্যুতিক চাষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল ফসলের ফলন বাড়ানো। ফলন বাড়ানোর ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া। এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে ফলন 20 থেকে 75 শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।