বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হল, বিশ্বে গ্রীনহাউস প্রভাবের তীব্রতা। বিজ্ঞানীদের মতে, এই সব কিছুর ফলে বিপদে পড়ছে অ্যান্টার্কটিকার এম্পেরর পেঙ্গুইন।
এম্পেরর পেঙ্গুইন বা সম্রাট পেঙ্গুইন, অন্য় সব পেঙ্গুইন প্রজাতিদের মধ্যে সবথেকে বেশি লম্বা এবং সবথেকে ভারী পেঙ্গুইন।
এদের বসবাস অ্যান্টার্কটিকাতেই। মহিলা এবং পুরুষ দু’জনেরই সমান পালক আছে এবং দু'জনেরই উচ্চতা সমান হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এম্পেরর পেঙ্গুইনের বিলুপ্তির ঝুঁকি বাড়ছে। এম্পেরর পেঙ্গুইনদের সুরক্ষিত করা উচিত। নাহলে এভাবে কয়েক বছরের মধ্য়েই তারা বিলুপ্তির পথে চলে যাবে।
জলবায়ু পরিবর্তন এসব পাখির অসফল প্রজননের একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওয়েডেল সাগরের হ্যালি বে উপনিবেশ বিশ্বের এম্পেরর পেঙ্গুইনদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপনিবেশ।
এই উপনিবেশটির বরফ দিনের পর দিন প্রচুর পরিমানে কমে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এম্পেরর পেঙ্গুইনের সংখ্যা গত 50 বছরে 75 শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
যেভাবে বরফ গলতে শুরু করেছে, তাতে পেঙ্গুইনদের বাঁচিয়ে রেখা মুশকিল। 1990-এর দশকের তুলনায় এখন পৃথিবীর বরফ দ্রুত হারে গলছে।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তিন দশক আগে যে হারে বরফ গলত, বর্তমানে সেই হার 57 শতাংশ দ্রুত হয়েছে। আর তাতেই পেঙ্গুইনদের এই হাল।