বর্তমানে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে যতই সতর্কতা জারি করা হোক না কোন, কোনও ফলাফল দেখা যায় না। বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে রয়েছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে, যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছে। বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজছেন।
তারা জানাচ্ছেন, বছরে 54 বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হচ্ছে। এর কারণে পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
1800 সাল থেকে মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে 1.14 ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি প্রতি দশকে 0.2 °C হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়ার ক্রমবর্ধমান তাপ বৃদ্ধির কারণে বনাঞ্চলে আগুন লাগছে। এই নতুন উঠে আসা তথ্য বিজ্ঞানীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আর মাত্র 250 বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হলেই মানব সভ্যতা শেষ হবে। এর জন্য খুব কম সময় বাকি আছে।
যে হারে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হচ্ছে, তাতে 6 বছরের মধ্যেই এই বিরাট সংকট দেখা দেবে। কিছু করেই বাঁচানো যাবে না পৃথিবীকে।
2100 সালের মধ্যে বিশ্বের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে মারাত্মক তাপের সম্মুখীন হতে হবে। এর সর্বোচ্চ প্রভাব পড়বে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে।