উন্নয়নের দিকে ছুঁটতে গিয়ে বিরাট জল ও খাদ্য সঙ্কট দেখা দিচ্ছে, আর তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তা যে ভবিষ্যতে কী রূপ নেবে, তা কল্পনাও করা যাচ্ছে না।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, 2019 সালে 93 কোটি টন খাদ্য আবর্জনায় ফেলা হয়েছিল। এখন তার পরিমাণ বেড়েছে। আর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে পৃথিবীর উপর।
এসব কিছুই বহুদিন ধরে বলে আসছেন বিজ্ঞানীরা, পরিবেশবিদরা। কিন্তু ফলাফল কোথায়?‘বায়োসায়েন্স’ নামে এক বিজ্ঞান পত্রিকায় সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেন, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি এবং চিন- এই সাত দেশের মোট 12 জন বিজ্ঞানী।
আর এই গবেষণাপত্রের শিরোনাম ‘দ্য 2023 স্টেট অব দ্য ক্লাইমেট রিপোর্ট: এন্টারিং আনচার্টেড টেরিটরি’। আর এই রিপোর্টেই জলবায়ু সংক্রান্ত বিশেষ কিছু পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে।
তার মধ্যে তালিকার শীর্ষে জায়গা পেয়েছে সারা বিশ্বে অস্বাভাবিক অপপ্রবাহ। সেই সঙ্গে রয়েছে মহাসাগরের রেকর্ড তাপমাত্রা বৃদ্ধি।
ফলে জলের স্তর বাড়ছে। এমনকি তা চলতি বছরেই রেকর্ড ছুঁয়েছে। বিশ্বব্যাপী যে হাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হচ্ছে, তা খাদ্য ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলছে।
প্রতি বছর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের 21 থেকে 37 শতাংশের জন্য মানুষের খাদ্যাভ্যাস দায়ী। ফলে খাদ্য চক্র পৃথিবীকে আরও বেশি উষ্ণ করে তুলবে।