2016 সালে বিশ্বের গভীরতম ব্লু হোল দক্ষিণ চিন সাগরে পাওয়া গিয়েছিল। যার নাম ড্রাগন হোল। এটিকে 980 ফুটেরও বেশি গভীর বলে মনে করা হয়।
তার 7 বছর পরে আবারও নতুন একটি ব্লু হোলের আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের উপকূলে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল আবিষ্কৃত হয়েছে।
চেতুমাল উপসাগরে এই বিরাট গর্তটি প্রায় 900 ফুট গভীর এবং 147,000 বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ব্লু হোল হল সমুদ্রের নীচে পাওয়া বড় সিঙ্কহোল বা বিশাল গর্ত।
এটি উপকূলীয় এলাকায় পাওয়া যায়। অর্থাৎ সমুদ্রের মাঝে বা কোনও দ্বীপের আশেপাশে দৈত্যাকার রন্ধ্রকে ব্লু হোল বলা হয়।
সমুদ্রের স্বাভাবিক গভীরতার চেয়ে এই ব্লু হোল গুলির গভীরতা অনেক বেশি। ব্লু হোলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সূর্যালোক পৌঁছয় না।
তবুও এতে অনেক প্রবাল, সামুদ্রিক কচ্ছপ এবং হাঙ্গর সহ উদ্ভিদ এবং সামুদ্রিক জীবন রয়েছে। তারা যেন দীর্ঘ সময় ধরে পরিবেশের সঙ্গে বেশ ভালভাবেই খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে।
আকাশ থেকে সমুদ্রে চোখ রাখলেও আলাদা করে ব্লু হোলের অস্তিত্ব বোঝা যায়। কারণ ওই সামুদ্রিক রন্ধ্রগুলির উপরের জলভাগকে, আশপাশের জলভাগের চেয়ে বেশি নীল দেখায়।
বিজ্ঞানীরা তেমনই একটি বিরাট রন্ধ্রের খোঁজ পেলেন, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বড় ব্লু হোল। তবে তারা এখনই এই দ্বিতীয় ব্লু হোল নিয়ে তেমন কিছুই জানাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।