সব কিছুর পিছনেই কোনও না কোনও কারণ থাকে। আর তাই কলার বাঁকা হওয়ার পিছনেও একটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে।
শুরুতে গাছে যখন কলার ফুল আসে অর্থাৎ মোচা ধরে, তখন মোচার পাপড়ির নীচে সারি সারি ছোট কলা গজাতে শুরু করে।
প্রতিটি পাতার নীচে এক গুচ্ছ করে কলা থাকে। প্রথমে কলা মাটির দিকে চলে যায়। কয়েকদিন পরে কলাগুলি বড় হওয়ার সময় ধীরে-ধীরে বেঁকতে থাকে।
এক কারণকে বিজ্ঞানের ভাষায় নেগেটিভ জিওট্রপিজম বলা হয়। অর্থাৎ যখন সূর্যের দিকে কোনও ফল বেড়ে ওঠে তখন তাকে নেগেটিভ জিওট্রপিজম বলা হয়।
গাছের ফলের বৃদ্ধি ফটোট্রপিজম , গ্র্যাভিটিজম ও অক্সিনের উপর নির্ভর করে। সে হিসেবে অন্যান্য বৃক্ষ বা ফলের মতো কলার পাতা ও ফল গ্র্যাভিটির জন্য নীচের দিকে ঝুলে থাকে।
কিন্তু কলা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলোর দিকে বাড়তে শুরু করে, যার কারণে কলার আকৃতি বাঁকা হয়ে যায়।
ঠিক যেমন সূর্যমুখী ফুল সবসময় সূর্যের আলোর দিকে থাকে এবং সন্ধ্যায় সূর্য যেমন তার দিক পরিবর্তন করে, সূর্যমুখী ফুলও তার দিক পরিবর্তন করে।
এ কারণে এই ফুলের নাম সূর্যমুখী, যার অর্থ সূর্যের দিকে মুখ করা। ঠিক কলার ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়। তাই সোজা হতে পারে না।