রথযাত্রার আগে ১০টি আকর্ষণীয় ও অজানা কথা জানুন এখানে...
ভারতীয় পুরাণ অনুসারে, প্রথম মহাভারত যুদ্ধ থেকে ভগবান কৃষ্ণের প্রত্যাবর্তন উদযাপনের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছিল রথযাত্রা উত্সব।
ঐতিহ্যমতে তিন ভাইবোনভগবান জগন্নাথ (কৃষ্ণ), বলরাম (বলভদ্র) ও সুভদ্রার এক শহর পরিক্রমার উত্সব।
রথযাত্রা উত্সব শুধু ভারতেই নয়, ডাবলিন, বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, লন্ডন, বাথ, মেলবোর্ন, মন্ট্রিল-সহ ১০০টিরও বেশি জায়গায় পালিত হয়।
অহমেদাবাদ রথযাত্রা হল দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা। প্রায় ১৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই রথ উত্সব পালন করা হয়ে আসছে।
পুরীর মন্দিরে অহিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু রথযাত্রা উত্সব সব সম্প্রদায়ের উত্সব হিসেবে পালন করা হয়।
রথযাত্রার জন্য ওড়শার পুরীর মন্দিরে প্রতি বছর তিনটি কাঠের বিশাল মাপের রথ তৈরি করা হয়।
রথ নির্মাণের পর বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে সাজানো হয়। তার জন্য প্রায় ১৪-১৫ জন কর্মী কাজ করেন। প্রায় ১২০০ মিটার কাপড়ের প্রয়োজন হয়।
১৮৭৫ সালের মাহেশের রথযাত্রা বিশেষ ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলার এই জনপ্রিয় রথযাত্রাকে ঘিরে বিখ্যাত উপন্যাস রাধারাণী রচনা করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
জগন্নাথদেবের রথটি প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু ও ৩৫ ফুট বর্গক্ষেত্রের। তৈরি করতে প্রায় ২ মাস সময় লাগে।
প্রতি বছর পদপিষ্ট হয়ে বড়ধরণের আঘাত ঘটলেও কখনও এই উত্সব পালনে বাধা পড়ে না।