হিন্দু ধর্মে প্রসাদ বা প্রসাদম হল ঈশ্বরকে দেওয়া একটি পবিত্র নৈবেদ্য। যে কোনও মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর হাতে বা পাত্র করে প্রসাদ বিলি করা হয়।
বাড়িতেও পুজোআচ্চা করা হলে প্রসাদ হিসেবে মিষ্টি, ফল বা সিন্নি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে দেশের অধিকাংশ মন্দিরের নিজস্ব বিশেষ প্রসাদ রয়েছে।
প্রথা অনুযায়ী, প্রতিটি দেবতাকে একটি বিশেষ ধরনের প্রসাদ দেওয়া হয়। আবার সব মন্দিরের প্রসাদ একই রকম নয়। আবার বেশ কিছু মন্দির রয়েছে, যেখানে প্রসাদ হল অনন্য।
আজাগর কোভিল, মাদুরাইয়া: আলাগার মন্দির নামে জনপ্রিয় এই মন্দিরটি মাদুরাই থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই মন্দিরে ভগবান বিষ্ণুই হলেন আরাধ্য দেবতা।
এই মন্দিরে ভক্তদের মধ্যে ধোসা প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয়। এছাড়া অধিষ্ঠিত দেবতাকে প্রসাদ হিসেবে শস্য দান করা হয়। সেইসব শস্য থেকে তাজা, খাস্তা ধোসা তৈরি করে প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হয়।
শ্রী কৃষ্ণ মন্দির, আম্বালাপুঝা: তিরুবনন্তপুরমের কাছে আম্বালাপুজায় অবস্থিত শ্রী কৃষ্ণ মন্দির ভক্তদের কাছে খুব অনন্য উপায়ে প্রসাদ বিতরণ করে।
এখানে দেওয়া প্রসাদ হল পয়সাম বা পায়েসম। দুধ, চিনি ও চাল দিয়ে তৈরি করা হয় এখানকার সুস্বাদু অমৃত প্রসাদ। এই প্রসাদ পেতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসে।
ধনাদয়ুথাপানি স্বামী মন্দির, পালানি: পালানি পাহাড়ে অবস্থিত মুরুগানের এই মন্দিরটি তার অনন্য নৈবেদ্যগুলির জন্য খুব জনপ্রিয়।
এই মন্দিরের মধ্যে পাঁচটি ফল, গুড় ও চিনি দিয়ে তৈরি মিষ্টি ভক্তদের নিবেদন করা হয়। এই প্রসাদ পঞ্চামৃতম নামেও পরিচিত।
মহাদেব মন্দির, মাঝুভাঞ্চেরি, ত্রিশূর: মাঝুভানচেরির মহাদেব মন্দিরের নৈবেদ্যগুলি একদম আলাদা। ইনফরমেশন ব্রোশিওর, পাঠ্য বই, ডিভিডি, সিডি ও স্টেশনারি ইত্যাদি প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় এখানে।
এমন প্রসাদ বিলি করার কারণ কী? মন্দিরের ট্রাস্টের মতে, অন্যান্য সমস্ত ধরণের পিএফ অফারগুলির মধ্যে জ্ঞান দেওয়া সর্বোত্তম।