6th May, 2025

রমরমিয়ে চলা ব্যবসা আচমকা পড়ল মুখ থুবড়ে! ব্ল্যাক ম্যাজিকের শিকার নন তো?

TV9 Bangla

Credit - Getty Images, Pinterest

ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি লেগেই থাকে। কোনও ব্যবসা যখন একবার লাভের শিখরে পৌঁছে যায়, তারপর ধুপ করে সেখান থেকে পতন হয়, তার অবশ্য নানা কারণ থাকতে পারে।

অনেক সময় দেখা যায়, কারও ফুলে ফেঁপে ওঠা ব্যবসা দুম করে খারাপ হতে থাকছে। এই পরিস্থিতিতে সেই দোকানের মালিকের চিন্তা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়। এমনটা হওয়া মানে তন্ত্র মন্ত্রর শিকার নন তো?

সম্প্রতি  গায়ক, সুরকার, প্রযোজক ও  ইউটিউবার অরিজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে এক পডকাস্টে অসমের তন্ত্র গুরু ও জ্যোতিষী দিব্যজ্যোতি শাস্ত্রী এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

তন্ত্র গুরু দিব্যজ্যোতি বলেন, 'বর্তমানে জ্যোতিষী বা তান্ত্রিকের কাছে মানুষ কেন যায়? যাঁদের সমস্যা হয়, তাঁরাই আসে। ডাক্তারের কাছে মানুষ কখন যায়? রোগ হলে।'

জ্যোতিষী দিব্যজ্যোতির কথায়, 'আপনি যেখানে দোকান খুলেছেন, তাঁর পাশে হতে পারে একটা ভালো দোকান ছিল। তাঁর পুরনো দোকান ভালো চলছিল। যখন সেখানে নতুন কোনও দোকান তৈরি হয়ে গেল, সেই পুরনো দোকান থেকে নতুন দোকানে ক্রেতারা আসতে থাকে।'

নিজের কথার রেশ টেনে দিব্যজ্যোতি বলেন, 'এমন সময় নতুন দোকানে কেউ তন্ত্র মন্ত্র করতে পারে। তেমনটা করা হলে কাস্টমাররা নতুন দোকানে যাবে। কিন্তু সেই ক্রেতা পুরনো দোকানে ফিরে যান।'

মোহিনীর যোগ থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'অনেক সময় দেখা যায় কোনও কমপ্লেক্সে প্রথম দোকান ভালো, তারপরও তৃতীয় বা চতুর্থ দোকানে, যেখানে স্টক কম, সেখানেই লোকে গিয়ে জিনিস কিনছে। এটা হলে বুঝতে হবে, মোহিনী করা হয়েছে। ক্রেতারা সেই একটি দোকানের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে। এটাকে রাজ মোহিনী বলা হয়।'

দিব্যজ্যোতি জানান, অসম্ভব কাজকে সম্ভব করানোর জন্য মোহিনী করা হয়। বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।