image of Pind Daan

18th  March, 2025

হিন্দুদের মৃত্যুর পর পিণ্ডদান না হলে ফল মারাত্মক, কী বলছে গরুড় পুরাণ?

TV9 Bangla

image

Credit - Pinterest 

পিণ্ডদান কেন করা হয়? হিন্দু শাস্ত্রে একথা বিভিন্ন জায়গায় বলা হলেও গরুড় পুরাণে রয়েছে বিস্তৃত ব্যাখা।

পিণ্ডদান কেন করা হয়? হিন্দু শাস্ত্রে একথা বিভিন্ন জায়গায় বলা হলেও গরুড় পুরাণে রয়েছে বিস্তৃত ব্যাখা।

হিন্দুধর্মে মৃত্যুর পর পিণ্ডদান করা হয়। অস্বাভাবিক হোক বা স্বাভাবিক মৃত্যু যেভাবেই হোক আত্মার সদগতির জন্য পিণ্ডদানের নিয়ম রয়েছে।

হিন্দুধর্মে মৃত্যুর পর পিণ্ডদান করা হয়। অস্বাভাবিক হোক বা স্বাভাবিক মৃত্যু যেভাবেই হোক আত্মার সদগতির জন্য পিণ্ডদানের নিয়ম রয়েছে।

পিণ্ড হল সিদ্ধ আতপ চাল, ঘি ও কালো তিলের বা কখনও যবের মিশ্রণ। মৃতদেহ দাহের আগেই একবার পিণ্ড দান করা হয়।

পিণ্ড হল সিদ্ধ আতপ চাল, ঘি ও কালো তিলের বা কখনও যবের মিশ্রণ। মৃতদেহ দাহের আগেই একবার পিণ্ড দান করা হয়। 

গরুড় পুরাণ অনুযায়ী, সদ্য প্রয়াত আত্মাকে পিণ্ড নিবেদন করলে সেই আত্মাকে তার পূর্বপুরুষদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পথ প্রদর্শণ করা যায়।

গরুড় পুরাণ অনুসারে মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে পিণ্ডদান না করা হলে, সেই ব্যক্তির প্রেতত্ব মোচন হয় না। 

মারা যাওয়ার পর সুক্ষ্মদেহী আত্মা পিণ্ডের মাধ্যমে শরীর পায় ধীরে ধীরে। গরুড় পুরাণে উল্লেখ রয়েছে, সন্তানের দ্বারা মা অথবা বাবার উদ্দেশে দেওয়া পিণ্ড চার ভাগে বিভক্ত হয়। এর মধ্যে দুটো প্রেতের শরীরের পঞ্চভূতের পুষ্টি দেয়। 

পিণ্ডের তৃতীয় অংশ যমদূতের কাছে যায়। আর শেষ অর্থাৎ চতুর্থ অংশ প্রেত রূপী জীবের খাদ্য। পুরাণে উল্লেখ রয়েছে, ৯টি রাত এবং দিনে পিণ্ড লাভ করার ফলে প্রেতের শরীর তৈরি হয়। 

১০তম দিনে পিণ্ড প্রেতের শরীরকে শক্তি প্রদান করে। গরুড় পুরাণ অনুযায়ী, পিণ্ডের মাধ্যমে শরীর তৈরি হওয়ার পর একাদশ ও দ্বাদশ দিনে তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত জীবাত্মা খাবার খায়। 

ত্রয়োদশ দিনে যমদূতের পাশে সেই নতুন তৈরি হওয়া শরীর একা যমমার্গে যায়। আর পিণ্ডলাভের ফলে যমলোকে যাওয়ার সময় সেই প্রাণী শুভ ও অশুভ কর্মফল ভোগ করতে পারে।   

বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা গরুড় পুরাণ ও হিন্দুধর্মের বিশ্বাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।