ভাইবোনের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে ভাইফোঁটা উত্সব অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ একটি উত্সব। প্রতি বছর কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পালিত হয় ভাইফোঁটা। এদিন সকল বোনেরা ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেন
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ভাইফোঁটার দিন বোনেরা ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেওয়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই ফোঁটা দেওয়ার সময় বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখা দরকার।
ভাইফোঁটার দিন সাধারণত ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দেওয়া হয়। দীর্ঘায়ু ও সুখী জীবন কামনা করা উদ্দেশ্যেই এই পবিত্র উত্সব। তাই ফোঁটা দেওয়ার সময় কোথায় ও কোনদিকে মুখ করে দেওয়া উচিত, তা জানুন।
বাস্তু মতে, ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনার জন্য সর্বদা পূর্ব, উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে থাকা উচিত। এদিন ফোঁটা দিন অবশ্যই সকাল থেকে উপবাস রাখা উচিত। তাতেই বাড়বে ভাইয়ের দীর্ঘ আয়ু।
প্রথমে ময়দা দিয়ে তৈরি একটি মূর্তি বানিয়ে পুজো করুন। তারপর একটি আসনে কাঠের বেদি রাখুন। সেখানেই ভাইকে বসতে বলুন। প্রদীপ জ্বালান। ফোঁটা দেওয়ার আগে সুন্দর করে থালি সাজিয়ে রাখুন।
অবাঙালিরা ভাইয়ের হাতে সুতো বাঁধেন। কিন্তু বাঙালিদের নিয়মে তা হয় না। আরতি করে বা প্রদীপের আলোর উম দিন, তারপর মুখে মধু, কপালে কালো ফোঁটা, চন্দনের ফোঁটা দেওয়া হয়।
ভাইকে মিষ্টি দিন। থালা সাজিয়ে বাটি ভরে পায়েস, মিষ্টি, ভাইফোঁটার মিষ্টি, লুচি সাজিয়ে ভাইদের হাতে তুলে দিন। সঙ্গে ভাল ভাল রান্না করে খাওয়াতে পারেন। তবে এদিন আরও কিছু জিনিস মাথায় রাখা উচিত।
ভাইফোঁটার দিন ভাইবোনদের মধ্যে সম্পর্কে দৃঢ় করা উচিত। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা-অশান্তি করা উচিত নয়। মিথ্যে কথা বলাও উচিত নয়।
ভাইয়ের মাথায় বাঁ হাত দিয়ে তিনবার ধান-দুব্বো দিয়ে আশীর্বাদ করতে হয়। তারপর হাতের কড়ে আঙুল দিয়ে ভাইয়ের কপালে তিনবার চন্দনের ফোঁটা দিয়ে ভাইফোঁটার মন্ত্র উচ্চারণ করুন। ফোঁটা দেওয়ার সময় কালো কাপড় একেবারেই পরবেন না।
ভাইয়ের থেকে যেই উপহার পান না কেন, তা গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয়। সেই উপহারকে কখনও সম্মান দেওয়া উচিত নয়। ভাইফোঁটার দিন ভাই ও বোন দুজনেই কিছু খাবেন না। ফোঁটা দেওয়ার পর খেতে পারেন।