বাংলামতে শুরু হয়েছে শ্রাবণ মাস। শিবভক্তদের কাছে এক গর্বের মাস। কারণ এই সময় শিবের আশীর্বাদ মেলে। হিন্দু ধর্মে চারধাম যাত্রা শুরু যায় এপ্রিলের গোড়া থেকে।
শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গ ও জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে মহাদেবের আরাধনা করা হয়। হিন্দুধর্মে জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করার পুণ্যলাভ করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
অনেকেই মনে করেন, শিবলিঙ্গ ও জ্যোতির্লিঙ্গ এক। কোনও পার্থক্য নেই। একেবারেই নয়। শিবলিঙ্গ পুজো করতে পারেন সকলে। কিন্তু জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করতে পারেন গুটিকতক ভক্ত।
সাধারণত শিবলিঙ্গকে শিবের প্রতীক বলে মনে করা হয়। শিবলিঙ্গ হল শিব-পার্বতীর আদি-অনাদির একক রূপ। মানবনির্মিত। শিবলিঙ্গের অর্থ হল অন্তহীন।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, জ্যোতির্লিঙ্গ হল মহাদেবের স্বয়ম্ভূ অবতার। শিবের জ্যোতি প্রকট যেখানে যেখানে উদয় হয়েছিল, সেখানে সেখানে জ্যোতির্লিঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে।
শিবপুরাণে বলা হয়েছে যে শিবলিঙ্গ হল ভগবান শিবের রূপ। এই শাস্ত্র অনুসারে ভোলেনাথের গোটা পরিবারই শিবলিঙ্গে বিরাজমান।
পুরাণ অনুযায়ী, জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে দিয়ে মহাদেব এক প্রকাণ্ড আলোকরশ্মি রূপে প্রকট হয়েছিলেন। গোটা দেশে জ্যোতির্লিঙ্গ শুধুমাত্র বারোটি।
মনে করা হয়, দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের জেরেই পৃথিবীর ভিত্তি বজায় এখনও বিদ্যমান। এই দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের কারণে পৃথিবী এখনও গতিশীল, জীবনযাপন সম্ভব।