কথিত আছে, হনুমানজি হলেন অপরাজেয়, অমর ও মৃত্যুঞ্জয়ী। কলিযুগের দেবতা হিসেবেও তিনি অগ্রাধিকার পেয়েছেন।
শাস্ত্র অনুসারে, প্রতি মঙ্গলবার, বজরঙ্গবলীর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা হয়। এই বিশেষ দিনেই শ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গেই পুজো করা হয়। কথিত আছে, শেষ বড় মঙ্গলবারে বজরঙ্গবলীকে বিশেষ কিছু দান করা হলে সব কষ্ট ও আশঙ্কা দূর হয়।
তবে জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রতি মঙ্গলবার বড় মঙ্গলবার হিসেবে পালিত হয়। এ মাসের শেষ বড় মঙ্গল ১৮ জুন। এই তিথিতে ভগবান বজরঙ্গবলীকে আরাধনা ও কিছু বিশেষ জিনিস দান করা শুভ
শেষ মঙ্গলবার একটি মাটির পাত্র দান করুন। জীবনের অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ হয়। বাকি থাকা কাজ শেষ হবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। বই উপযোগী। এ কথা প্রায়শই শোনা যায়।
ঘি দান করলে সন্তান লাভের সুখ লাভ করতে পারেন ভক্তরা। বড় মঙ্গলে ঘি দান করলে নিঃসন্তান দম্পতির সন্তান লাভের ইচ্ছা পূরণ হয়।
বড় মঙ্গলে হনুমানজিকে ছোলা নিবেদন করুন। অভাবীদের লাল বস্ত্র দান করুন।তাতে সারাবছর বজরঙ্গবলীর আশীর্বাদ বর্ষিত হবে।
বড় মঙ্গলের দিনে যে কোনও হনুমান মন্দিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে বুন্দির লাড্ডু বিতরণ করলে কর্মক্ষেত্রে দারুণ উন্নতি ও সাফল্য মিলতে পারে।
গুড় দান করলে সুখ ও সৌভাগ্য লাভ হয়। কুণ্ডলীতে মঙ্গলের অবস্থান মজবুত হয়। অশুভ গ্রহের প্রভাবও কমে যায়।