28 October 2023

মৃন্ময়ী রূপেই নয়, এভাবেও লক্ষ্মীর আরাধনা হয়

শাস্ত্র অনুসারে, মৃন্ময়ী লক্ষ্মী মূর্তি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে, তবেই লক্ষ্মী পুজোর চল রয়েছে বাংলার সর্বত্র। তবে এই রেওয়াজ আগেকার দিনে ছিল না। প্রতিমা ছাড়াই হত পুজো।

গ্রামীন বাংলায় লক্ষ্মীপুজো করা হত অন্য নিয়মে, অন্য প্রথায়। দুর্গাপুজোর শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো পালন করা হয়, প্রতিবছর।

লক্ষ্মীর সরা হল অন্যতম লক্ষ্মী পুজোপাঠের উপায়। গ্রামবাংলায় পটচিত্রের উপর লক্ষ্মী বিরাজ করে। মাটির সরায় লক্ষ্মীর মূর্তি এঁকে পুজো করা হয়ে থাকে এখনও।

প্রতিটি সরাতেই লক্ষ্মীর সঙ্গে বিরাজ করেন জয়া ও বিজয়া, বাহন পেঁচা। কখনও শ্রীকৃষ্ণ, রাধা। দুর্গা ও পরিবারের সঙ্গেও থাকেন লক্ষ্মীদেবী।

লক্ষ্মীর ঘট পুজোর অন্যতম উপকরণ। পোড়ামাটির ঘটে চাল ও গঙ্গাজল দিয়ে ভরে লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে লক্ষ্মীর আসনে বসানো হয়। অনেকেই এই ঘটকেই লক্ষ্মী রূপে পুজো করে থাকেন।

গ্রামবাংলায় বহু গৃহস্থের বাড়িতে আড়ি লক্ষ্মীর পুজো করা হয়। এটি সাবেকি প্রথা মেনে পুজো করা হয়। 

বেতের ঝুড়িতে নতুন ধানের উপর লাল ওড়না  বা চেলি দেওয়া হয়। তার উপর সিঁদুর কৌটো রাখা হয়।

প্রাচীন কালে এইভাবেই পুজো করা চল ছিল। গোয়ালঘর বা শস্য রাখার ঘরকে লক্ষ্মী হিসেবে পুজো করা হত। ধানভরতি গোলাঘরই ছিল লক্ষ্মীর প্রতীক। সেখানেই পড়া হল লক্ষ্মীর পাঁচালি, ব্রতকথা।

সপ্ততরী বানিয়ে লক্ষ্মীর আরাধনা করার রীতি রয়েছে। সাতটি কলার পেটো দিয়ে বানানো সাতটি নৌকা।

সেখানে রাখা হয় হলুদ, ধান বা চাল, ডাল, হরিতকি, টাকা বা কয়েন। বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী, সেই নিয়মেই সপ্ততরীকে লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে পুজো করা হয়।